পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋণশোধ ऐ२> 'A শেখর। না মহারাজ, আমাকে যদি সঙ্গে নেন তাহলে আপনার পরে মন্ত্রী আর সেনাপতির বিষম অশ্রদ্ধা হবে, আর আমার পরে হবে রাগ । বিজয়াদিত্য। ঠিক বটে। মন্ত্রীর মনে এই বড়ো ক্ষোভ যে, রাজত্ব পাবার যে পিতৃঋণ, সে শোধ করবার জন্তে আমার মন নেই। كسسم শেখর। আমার মস্ত দোষ এই যে, আমি কেবল স্মরণ করাই, এই যে বিশ্ব আমাদের চিত্তে অমৃত ঢেলে দিচ্ছে তার ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে । বিজয়াদিত্য। অমৃতের বদলে অমৃত দিয়ে তবে তো সেই ঋণ শোধ করতে হয়। তোমার হাতে সেই শক্তি আছে। তোমার কবিতার ভিতর দিয়ে তুমি বিশ্বকে অমৃত ফিরিয়ে দিচ্ছ । কিন্তু আমার কী ক্ষমতা আছে বলে । আমি তো কেবলমাত্র রাজত্ব করি । শেখর । প্রেমও যে অমৃত, মহারাজ । আজ সকালের সোনার আলোয় পাতায় পাতায় শিশির যখন বীণার ঝংকারের মতো ঝলমল করে উঠল তখন সেই সুরের জবাবটি ভালোবাসার আনন্দ ছাড়া আর কিছুতে নেই। আমার কথা যদি বলেন সেই আনন্দ আজ আমার চিত্তে অসীম বিরহ-বেদনায় উপছে পড়ছে— গান আজি শরত তপনে প্রভাত স্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়— ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কী যে গায় । বিজয়াদিত্য। তুমি আমাকে ধরে টিকতে দিলে না দেখছি। চললেম আমি অমৃতের ঋণ শোধ করতে । শেখর । গান আজ মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে রহে ন! আবাসে মন হয় ! কোন কুমুমের আশে কোন ফুলবাসে সুনীল আকাশে মন ধায় । বিজয়াদিত্য। কবি, ভালোবাসা তে দেব, কিন্তু কোথায় দেব ? শেখর। মহারাজ, যেদিন সময় আসে, যেদিন ভাক পড়ে, সেদিন বাজে-খরচের