পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋণশোধ ૨૨ છે লক্ষেশ্বর। আছে বই কি ! সেইজন্তেই হাত জোড় করে বলছি আমার ঘরটার দিকে উকি দিয়ে না—আমি তোমাকে খুশি করে দেব। শেখর। তোমার চেহারা দেখেই বুঝেছি সন্ধান করবার মতো ঘর তোমার নয়। লক্ষেশ্বর। আশ্চর্ষ তোমার বুদ্ধি বটে। এ নইলে রাজকর্মচারী হবে কোন গুণে ? রাজা বেছে বেছে লোক রাখে বটে। অকিঞ্চনের মুখ দেখলেই চিনতে পার ? শেখর । তা পারি। অতএব তোমার ঘরে আমার আনাগোনা চলবে না । লক্ষেশ্বর । তোমার উপরে ভক্তি হচ্ছে। তাহলে আর বিলম্ব ক'রো না—এইখান “থেকে একটুখানি— শেখর। আমি তফাতেই যাচ্ছি—তফাতে যাব বলেই বেরিয়েছি । [ প্রস্থান লক্ষেশ্বর । “তফাতে যাব বলেই বেরিয়েছি” লোকটা যখন কথা কয় সব ঝাপসা ঠেকে। রাজারা স্পষ্ট কথা সহ্য করতে পারে না, তাই বোধ হয় দায়ে পড়ে এই রকম অভ্যেস করেছে । [ প্রস্থান পুথি প্রভৃতি লইয়া উপনন্দের প্রবেশ ও একটি কোণে লিখিতে বসা ঠাকুরদাদা ও বালকগণের প্রবেশ একজন বালক । ঠাকুরদা, তুমি আমাদের দলে । দ্বিতীয় বালক । না ঠাকুরদা, সে হবে না, তুমি আমাদের দলে । ঠাকুরদাদা । না ভাই, আমি ভাগাভাগির খেলায় নেই ; সে সব হয়ে বয়ে গেছে । আমি সকল দলের মাঝখানে থাকব, কাউকে বাদ দিতে পারব না। এবার গানটা ধর । গান । আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে উড়ে বেড়ায় আলোয় মেতে,