পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇరిe রবীন্দ্র-রচনাবলী আজ কিসের তরে নদীর চরে চখাচর্থীর মেলা । অন্ত দল আসিয়া । ঠাকুরদা, এই বুঝি ! আমাদের তুমি ডেকে আনলে না কেন । তোমার সঙ্গে আড়ি । জন্মের মতো আড়ি । ঠাকুরদাদা। এত বড়ো দণ্ড । নিজেরা দোষ করে আমাকে শাস্তি! আমি তোদের ডেকে বের করব, না তোরা আমাকে ডেকে বাইরে টেনে আনবি । না ভাই, আজ ঝগড়া না, গান ধর । গান ওরে যাব না, আজ ঘরে রে ভাই যাব না আজ ঘরে । ওরে আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ নেব রে লুঠ করে । যেন জোয়ার জলে ফেনার রাশি বাতাসে আজ ছুটছে হাসি, আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বঁাশি কাটবে সকল বেলা । প্রথম বালক । ঠাকুরদা, ওই দেখো কে আসছে, ওকে ত কখনো দেখি নি । ঠাকুরদাদা । পাগড়ি দেখে মনে হচ্ছে লোকটা পরদেশী । প্রথম বালক । পরদেশ ! ভারি মজা | দ্বিতীয় বালক । আমি পরদেশী হব ঠাকুরদা । তৃতীয় বালক । আমিও হব পরদেশী—কী মজ । সকলে । আমরা সবাই পরদেশী হব । প্রথম বালক । আমাদের ওই রকম পাগড়ি বানিয়ে দাও ঠাকুরদা, তোমার পায়ে পড়ি । শেখরের প্রবেশ প্রথম বালক। তুমি পরদেশী ? শেখর । ঠিক বলেছ । দ্বিতীয় বালক। তুমি কী কর ?