পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇలిసి রবীন্দ্র-রচনাবলী ঠাকুরদাদা । সে আর কী বলব, যেন একেবারে চিরদিনের চেন । সন্ন্যাসী । ঠিক বলেছ, আমার পক্ষেও তাই । কিন্তু আবার ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় যেন ওঁকে চেনবার জো নেই। উনি যে কিসের খোজে কখন কোথায় ফেরেন তা বোঝা শক্ত | { গান শেখর। আমি তারেই খুজে বেড়ুই যে রয় মনে, আমার মনে। ও সে আছে বলে আকাশ জুড়ে ফোটে তারা রাতে, প্রাতে ফুল ফুটে রয় বনে । সে আছে বলে চোখের তারার আলোয় এত রূপের খেলা রঙের মেলা অসীম সাদায় কালোয়, ও সে সঙ্গে থাকে বলে আমার অঙ্গে অঙ্গে পুলক লাগায় দপিন সমীরণে । তারি বাণী হঠাৎ উঠে পুরে আনমনা কোন তানের মাঝে আমার গানের সুরে । দুখের দোলে হঠাৎ মোরে দোলায় কাজের মাঝে লুকিয়ে থেকে আমারে কাজ ভোলায় । সে মোর চিরদিনের বলে তারি পুলকে মোর পলকগুলি ভরে ক্ষণে ক্ষণে । প্রথম বালক । কিন্তু আর লিখতে ভালো লাগছে না । দ্বিতীয় বালক । না, আর নয় । সকলে। আজ এই পর্যন্ত থাক । উপনন্দ । আমাকে বাচালে। এখন পুথিগুলি ফিরে দাও । প্রথম বালক । আচ্ছা পরদেশী, তুমি এত গান গাও কেন ? শেখর। আর কোনো গুণ যদি থাকত তাহলে গাইতেম না। ওই দেখ না কেন, তোমাদের সেই লক্ষ্মীপেঁচা তো গান গায় না। সকলে । না, সে চেচায় । শেখর । তার মানে, সার বস্তুর দ্বারা ভরতি হয়ে ও একেবারে নিরেট । দ্বিতীয় বালক। পরদেশী, তোমার দেশের গল্প তুমি আমাদের শোনাবে ? শেখর। আমার দেশের গল্প ভারি অদ্ভুত ।