পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. *ዘሣርማ†♥ ̇ ૨૯૭ মনটা বলে যাই সোনার পদ্মর খোজে,আবার বলি থাক গে ও-স্ব বাজে কথা। একবার মনে ভাবি, এবার বুঝি তবে ঠাকুরদাই জিতলে বা, আবার ভাবি মরুক গে ঠাকুরদা। ঠাকুর, এ তো ভালো কথা নয়। চেলা-ধর ব্যবসা দেখছি তোমার। কিন্তু সে হবে না, কোনোমতেই হবে না। চুপ করে হাসছ কী। আমি বলছি আমাকে পারবে না— আমার শক্ত হাড়। লক্ষেশ্বর কোনোনি তোমার চেলাগিরিতে ভিড়বে না। [ প্রস্থান ফুল লইয়া ছেলেদের সঙ্গে শেখরের প্রবেশ , সন্ন্যাসী । এবার অর্ঘ্য সাজানো যাক। এ যে টগর, এই বুঝি মালতী, শেফালিকাও অনেক এনেছ দেখছি । সমস্তই শুভ্ৰ, শুভ্ৰ, শুভ্র । এবারে সকলে মিলে শারদোৎসবের আবাহন গানটি ধরে । কবি, তুমি ধরিয়ে দাও । ঠাকুরদা, তুমিও যোগ দিয়ে । গান আমরা বেঁধেছিকাশের গুচ্ছ, আমরা গেখেছি শেফালি মালা । নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা । এস গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্ৰ মেঘের রথে, এস নির্মল নীল পথে, এস ধৌত শুামল আলো-ঝলমল বনগিরি পর্বতে । এস মুকুটে পরিয়া শ্বেত শতদল শীতল শিশির-ঢালা । ঝরা মালতীর ফুলে আসন-বিছানো নিভৃত কুঞ্জে ভরা গঙ্গার কুলে, ফিরিছে মরাল ডানা পাতিবারে তোমার চরণমূলে। গুঞ্জর তান তুলিয়ে তোমার সোনার বীণার তারে