পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋণশোধ २¢¢ শেখর। ওই যে সাদা মেষ ভেসে আসছে। দ্বিতীয় বালক । ই ই ভেসে আসছে। তৃতীয় বালক । ই আমিও দেখেছি। শেখর। ওই যে আকাশ ভরে গেল । প্রথম বালক । কিসে ? শেখর। কিসে ! এই তো স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে আলোতে, আনন্দে। বাতাসে শিশিরের পরশ পাচ্ছ না ? * দ্বিতীয় বালক । ই পাচ্ছি। শেখর। তবে আর কী ! চক্ষু সার্থক হয়েছে, শরীর পবিত্র হয়েছে, মন প্রশাস্ত হয়েছে। এসেছেন, এসেছেন, আমাদের মাঝখানেই এসেছেন। দেখছ না বেতসিনী নদীর ভাবটা । আর ধানের খেত কী রকম চঞ্চল হয়ে উঠেছে। এবার বরণের গানটা ধরিয়ে দিই। গাও। গান আমার নয়ন-ভুলানো এলে । আমি কী হেরিলাম হৃদয় মেলে । শেখর । সমস্ত বনে বনে নদীর ধারে ধারে গেয়ে আসি গে। [ ছেলেদের লইয়া গাহিতে গাহিতে শেখরের প্রস্থান লক্ষেশ্বরের প্রবেশ ঠাকুরদাদা। এ কী হল ! লখা গেরুয়া ধরেছে যে । লক্ষেশ্বর। সন্ন্যাসী ঠাকুর, এবার আর কথা নেই। আমি তোমারই চেলা। এই নাও আমার গজমোতির কোঁটো—এই আমার মণিমাণিক্যের পেটিকা তোমারই কাছে ब्रहेण । দেখে ঠাকুর, সাবধানে রেখো। _ সন্ন্যাসী । তোমার এমন মতি কেন হল লক্ষেশ্বর ? লক্ষেশ্বর। সহজে হয় নি প্ৰভু ! সম্রাট বিজয়াদিত্যের সৈন্য আসছে । এবার আমার ঘৱে কি আর কিছু থাকবে ? তোমার গায়ে তো কেউ হাত দিতে পারবে না, এ-সমস্ত তোমার কাছেই রাখলেম। তোমার চেলাকে ভূমি রক্ষা করে বাবা, আমি তোমার শরণাগত । * I সোমপাল। সয়্যালী ঠাকুর। "