পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● রৰীন্দ্র-রচনাবলী এবং দেশী ও বিলিতি আলাপী-পরিচিতদের কাছে নানা উপলক্ষ্যে এলাকে প্রকাশিত করবার জন্তে তিনি ব্যগ্র হয়ে উঠলেন। এলার স্ত্রীবুদ্ধিতে বুঝতে বাকি রইল না যে, এর ফল ভালো হচ্ছে না। মাধবী মিথ্যা আরামের ভান করে ক্ষণে ক্ষণে বলতে লাগলেন, “বাচা গেল—বিলিতি কায়দার সামাজিকতার দায় আমার ঘাড়ে চাপানো, কেন বাপু আমার না আছে বিস্তে, না আছে বুদ্ধি।” ভাবগতিক দেখে এলা নিজের চারিদিকে প্রায় একটা জেনানা খাড়া করে তুললে। মুরেশের মেয়ে সুরমার পড়াবার ভার সে অতিরিক্ত উৎসাহের সঙ্গে নিলে। একটা থসিস লিখতে লাগিয়ে দিলে তার বাকি সময়টুকু। বিষয়টা বাংলা মঙ্গলকাব্য ও চলারের কাব্যের তুলনা । এই নিয়ে সুরেশ মহা উৎসাহিত। এই সংবাদটা চারদিকে প্রচার করে দিলেন। মাধবী মুখ বঁকা করে বললেন, “বাড়াবাড়ি ।” স্বামীকে বললেন, “এলার কাছে ফস করে মেয়েকে পড়তে দিলে । কেন, অধর মাস্টার কী দোষ করেছে ? যাই বল না আমি কিন্তু—” সুরেশ অবাক হয়ে বললেন, “কী বল তুমি ! এলার সঙ্গে অধরের তুলনা ।” “দুটো নোটবই মুখস্থ করে পাস করলেই বিদ্যে হয় না,”—বলে ঘাড় বেঁকিয়ে গৃহিণী ঘর থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন । একটা কথা স্বামীকে বলতেও তার মুখে বাধে—“মুরমার বয়স তেরো পেরোতে চলল, আজ বাদে কাল পাত্র খুঁজতে দেশ বেটিয়ে বেড়াতে হবে, তখন এলা সুরমার কাছে থাকলে—ছেলেগুলোর চোখে যে ফ্যাকাসে কটা রঙের নেশা—ওরা কি জানে কাকে বলে সুন্দর ?” দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন আর ভাবেন, এ-সব কথা কর্তাকে জানিয়ে ফল নেই, পুরুষরা ষে সংসার-কানা । 學 যত শীঘ্র হয় এলার বিয়ে হয়ে যাক এই চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগলেন গৃহিণী। বেশি চেষ্টা করতে হয় না, ভালো ভালো পাত্র আপনি এসে জোটে—এমন সব পত্রি, সুরমার সঙ্গে যাদের সম্বন্ধ ঘটাবার জন্ত মাধবী লুব্ধ হয়ে ওঠেন । অথচ এল তাদের বারে বারে নিরাশ করে ফিরিয়ে দেয়। ভাইঝির একগুঁয়ে অবিবেচনায় উদ্বিগ্ন হলেন সুরেশ, কাকী হলেন অত্যন্ত অসহিষ্ণু। তিনি জানেন সংপাত্রকে উপেক্ষা করা সমর্থবয়সের বাঙালি মেয়ের পক্ষে অপরাধ। নানারকম বয়সোচিত দুর্বোগের আশঙ্কা করতে লাগলেন, এবং দায়িত্ববোধে অভিভূত হল তার অন্তঃকরণ। এলা স্পষ্টই বুঝতে পারলে যে, সে তার কাকার দেহের সঙ্গে কাকার সংসারের জন্তু ঘটাতে বসেছে । ७बन गभ८ब्र हेवनांर्ष ७८णन cगहे अश्रब्र । cनएलब्र झांप्बब्रां ऊँ८क मांबउ ब्रांज