পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छद्म विश्रश्चि ኟፃፉ9 বুঝতে পারলেন এদেশে তার জীবনে সর্বোচ্চ অধ্যবসায়ের পথ অবরুদ্ধ। একই প্রদক্ষিণপথে অধ্যাপনার চিরাভ্যন্ত চাকা ঘুরিয়ে অবশেষে কিঞ্চিৎ পেনশন ভোগ করে জীবলীলা সংবরণ করবেন, নিজের এই দুৰ্গতির আশঙ্কা তিনি কিছুতেই স্বীকার করতে পারলেন না । তিনি নিশ্চিত জানতেন অন্য যে-কোনো দেশে সম্মানলাভের শক্তি তার প্রচুর ছিল। 醇 একদল ইন্দ্রনাথ জার্মান ফরাসি ভাষা শেখাবার একটা প্রাইভেট ক্লাস খুললেন, সেই সঙ্গে ভার নিলেন বটানি ও জিয়লজিতে কালেজের ছাত্রদের সাহায্য করবার। ক্রমে এই ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানের গোপন তলদেশ বেয়ে একটা অপ্রকাশু সাধনার জটিল শিকড় জেলখানার প্রাঙ্গণের মাঝখান দিয়ে ছড়িয়ে পড়ল বহুদূরে । ইন্দ্রনাথ জিজ্ঞাসা করলেন, “এলা, তুমি যে এখানে ?” এলা বললে, “আপনি আমার বাড়িতে ওদের যাওয়া নিষেধ করেছেন সেইজন্তে ছেলেরা এখানেই আমাকে ডেকেছে।” “সে খবর আগেই পেয়েছি। পেয়েই জরুর তাদের অন্তত্র কাজে লাগিয়ে দিলুম। ওদের সকলের হয়ে অ্যাপলজি করতে এসেছি। বিলও শোধ করে দেব ।” “কেন আপনি আমার নিমন্ত্রণ ভেঙে দিলেন ?” “ছেলেদের সঙ্গে তোমার সহৃদয়তার সম্পর্ক আছে সেই কথাটা চাপা দেবার জন্তে । কাল দেখতে পাবে তোমার নাম করে একটা প্রবন্ধ কাগজে পাঠিয়ে দিয়েছি।” “আপনি লিখেছেন ? আপনার কলমে বেনামি চলে না ; লোকে ওটাকে অকৃত্রিম বলে বিশ্বাস করবে না ।” “বা হাত দিয়ে কাচা করে লেখা ; বুদ্ধির পরিচয় নেই, সদুপদেশ আছে।” “कैौ ब्रकश ?” “তুমি লিখছ—ছেলের অকালবোধনে দেশকে মারতে বসেছে। বঙ্গনারীদের কাছে তোমার সকরুণ আপিল এই যে, তারা যেন লক্ষ্মীছাড়াদের মাথা ঠাণ্ড করে। বলেছ—দূর থেকে ভংগন করলে কানে পৌছোবে না। ওদের মাঝখানে গিয়ে পড়তে হবে, যেখানে ওদের নেশার আডডা । শাসনকর্তাদের সন্দেহ হতে পারে, তা হ’ক । বলেছ—তোমরা মায়ের জাত ; ওদের শাস্তি নিজে নিয়েও যদি ওদের বঁাচাতে পার, মরণ সার্থক হবে। আজকাল সর্বদাই বলে থাক—তোমরা মায়ের জাত, ওই কথাটাকে লবণাঙ্গুতে ভিজিয়ে লেখার মধ্যে বসিয়ে দিয়েছি। মাতৃবংসল পাঠকের চোখে জল আসবে। যদি তুমি পুরুষ হতে, এর পরে রায়বাহাদুর अंगदैो •ो७ब्र अणखद इज्र नंो ।” o '\లి-లిల