পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኟፃ&» রবীন্দ্র-রচনাবলী “সে আপনার সামনে প্রতিজ্ঞ করেছিল বিয়ে করবে না ।” “তখন সেটা ছিল সত্য, এখন সেটা সত্য নেই। মুখের কথায় সত্য স্বটি করা যায় না। প্রতিজ্ঞ উমা আপনিই ভাঙত, আমি ভাঙালুম, ওর অপরাধ বাঁচিয়ে দিলুম।” *,繡 “প্রতিজ্ঞ রাখা না-রাখার দায়িত্ব ওরই, না হয় ভাঙত, না হয় করত অপরাধ।” । “ভাঙতে ভাঙতে আশেপাশে ভাঙচুর করত বিস্তর, লোকসান হত আমাদের সকলেরই।” “ও কিন্তু বড়ো কান্নাকাটি করছে।” 尊 “তাহলে কান্নাকাটির দিন আর বাড়তে দেব না-কাল-পরশুর মধ্যেই বিয়ে চুকিয়ে দেওয়া যাবে I*

  • কাল-পরশুর পরেও তো ওর সমস্ত জীবনটাই আছে।”

“মেয়েদের বিয়ের আগেকার কান্না প্রভাতে মেঘডম্বরং ।” “আপনি নিষ্ঠুর !” “কেননা, মানুষকে যে-বিধাতা ভালোবাসেন তিনি নিষ্ঠুর, জন্তুকেই তিনি প্রশ্রয় দেন ।” “আপনি জানেন উমা সুকুমারকে ভালোবাসে।” “সেইজন্যেই ওকে তফাত করতে চাই ।” “ভালোবাসার শাস্তি ?” “ভালোবাসার শাস্তির কোনো মানে নেই। তাহলে বসন্ত রোগ হয়েছে বলেও শাস্তি দিতে হয় । কিন্তু গুটি বেরোলে ঘর থেকে বের করে রোগীকে হাসপাতালে পাঠানোই শ্রেয় ।” “মুকুমারের সঙ্গে বিয়ে দিলেই তো হয়।” “সুকুমার তো কোনো অপরাধ করে নি। ওর মতো ছেলে আমাদের মধ্যে कछन श्रां८छ् ?” “ও যদি নিজেই উমাকে বিয়ে করতে রাজি হয় ?” “অসম্ভব নয়। সেইজন্তেই এত তাড়া। ওর মতো উচুদরের পুরুষের মনে বিভ্রম ঘটানো মেয়েদের পক্ষে সহজ —সৌজন্তকে প্রশ্রয় বলে মুকুমারের কাছে প্রমাণ করা দুই-এক ফোটা চোখের জলেই সম্ভব হতে পারে। রাগ করছ শুনে ?” । “রাগ করব কেন ? মেয়ের নিঃশব নৈপুণ্যে প্রশ্ৰয় ঘটিয়েছে আর তার দায় মানতে হয়েছে পুরুষকে, আমার অভিজ্ঞতায় এমন ঘটনার অভাব নেই। সময় হয়েছে সত্যের