পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छाँच्न व्यक्ष,ोच्न ... * ૨ઝ છે নিন্দাবিলাসীরা নিষ্ঠাহীন । এদের নাম খাতায় টুকে রাখি । অনেকগুলো পাতা ভরতি হল ।” .. “মাস্টারমশায়, ওরা নিন্দে ভালোবাসে বলেই নিন্দে করে, আমার উপর রাগ আছে , বলে নয়।” - “অজাতশত্রু নাম শুনেছ এল । এরা সবাই জাতশত্রু । জন্মকাল থেকেই এদের অহৈতুক শক্রতা বাংলাদেশের অভু্যখানের সমস্ত চেষ্টাকে কেবলই ধূলিসাৎ করছে।” “ভায়া, আজ এই পর্যন্ত, বিষয়টা আগামীবারে সমাপ্য। এলাদি, তোমার চায়ের নিমন্ত্র। ভাঙবার মূলে যদি গোপনে আমি থাকি, কিছু মনে ক’রে না। আমার চায়ের দোকানটাতে কুলুপ পড়বার সময় আসন্ন। বোধ হয় মাইল শ-তিন তফাতে গিয়ে এবার নাপিতের দোকান খুলতে হবে। ইতিমধ্যে অলকানন্দ তৈল পাঁচ পিপে তৈরি করে রেখেছি । মহাদেবের জটা নিংড়ে বের-করা । একটা সার্টিফিকেট দিয়ে বংসে, ব’লে, অলকা তেল মাখার পর থেকে চুল-বাধা একটা আপদ হয়েছে, দীর্ঘায়মান বেণী সামলে তোলা স্বয়ং দশভূজা দেবীর দুঃসাধ্য ।” যাবার সময় এলা দরজার কাছে এসে মুখ ফিরিয়ে বললে, “মাস্টারমশায়, মনে রইল আপনার কথা, প্রস্তুত থাকব । আমাকে সরাবার দিন হয়তো আসবে, নিঃশব্দেই মিলিয়ে যাব।” এলা চলে গেলে ইন্দ্রনাথ বললে, “তোমাকে চঞ্চল দেখছি কেন হে কানাই y” “সম্প্রতি রাস্তার ধারে আমার ওই সামনের টেবিলেই বসে গোটাতিনেক গুণ্ড ছেলে বীররস প্রচার করছিল। আওয়াজে বোঝা যায় জন বৃষভেরই পুস্তি বাছুর। আমি সিভিশনের নমুনা মুদ্ধ ওদের নামে পুলিসে রিপোর্ট করে দিয়েছি।” “আন্দাজ করতে ভুল কর নি তো কানাই ?” “বরং ভুল করে সন্দেহ করা ভালো, কিন্তু সন্দেহ না করে ভুল করা সাংঘাতিক । ধাটি বোকাই যদি হয় তাহলে কেউ ওদের বাচাতে পারবে না, আর যদি হয় খাটি দুশমন তাহলে ওদের মারবে কে ? আমার রিপোর্টে উন্নতিই হবে। সেদিন চড় গলায় শয়তানি শাসনপ্রণালীর উপর দিয়ে রক্তগঙ্গা বওয়াবার প্রস্তাব তুলেছিল। নিশ্চয়ই অভয়চরণ রক্ষিত এদের উপাধি। একদিন সন্ধ্যাবেলায় ক্যাশবাক্স নিয়ে হিসেব মেলাতে বসেছিলুম। হঠাৎ একটা ধুলোমাখা ছেড়াকাপড়-পরা ছেলে এসে চুপি চুপি বললে, টাকা চাই পচিশট, যেতে হবে দিনাজপুরে। আমাদের মধুর মামার নাম করলে। আমি লাক দিয়ে উঠে চীৎকার করে বলে উঠলুম, শয়তান, এতবড়ো জাম্পর্শ তোমার। এখনই ধরিয়ে দেব পুলিসের হাতে।—সময় হাতে '\లి-Nరి$ు