পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

々ba ** রবীন্দ্র-রচনাবলী একটুও ছিল না, নইলে প্রহসনটা শেষ করতুম, নিয়ে যেভূম থানায় । তোমার ছেলের যারা পাশের ঘরে বসে চা খাচ্ছিল তারা আমার উপর অগ্নিশর্ম ; ওকে দেবে বলে চাদ তোলবার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখলে, সবার পকেট কুড়িয়ে তেরো আনার বেশি ফও উঠল না। ছেলেট আমার মূর্তি দেখে সরে পড়েছে।” . “তবে তো দেখছি তোমার ঢাকনির ফুটে দিয়ে গন্ধ বেরিয়ে পড়েছে—মাছির আমদানি শুরু হল ।” “সন্দেহ নেই। ভায়া, এখনই ছড়িয়ে ফেলো তোমার ছেলেগুলোকে দূরে দূরে— *Sowd goufsts on cofa al tigo Ostensible means of livelihood প্রত্যেকেরই থাকা চাই ।” “চাই নিশ্চয়ই। কিন্তু উপায় ঠাউরেছ ?” “অনেকদিন থেকে । হাত খোলসা ছিল না, নিজে করতে পারি নি। ভেবে রেখেছি, উপকরণও জমিয়েছি ধীরে ধীরে । মাধব কবিরাজ বিক্রি করে জরাশনি বটকা, তার বারো আন কুইনীন । সেগুলো তার কাছ থেকে নিয়ে লেবেল বদলে নাম দেব ম্যালেরিয়ারি গুটিকা, কুইনীনের পিছনে অনেকখানি মিথ্যে কথা জুড়তে হবে। প্রতুল সেনকে লাগানো যাবে ক্যাম্বিসের ব্যাগ হাতে ওই গুটিকা প্রচার করার কাজে । তোমার নিবারণ ফাস্ট ক্লাস এম এসসি লজ্জা ত্যাগ করে পড়ুক ভৈরবী কবচ নিয়ে, এই কবচে সপ্তধাতুর উপরে নব্য রসায়নের আরও গোটাকতক নূতন ধাতুর নাম জড়িয়ে প্রাচীন ঋষিদের সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব সন্মিলন সাধন করা যেতে পারে। জগবন্ধু সংস্কৃত শ্লোকের উপর ব্যাকরণের ভেলকি লাগিয়ে উচ্চস্বরে প্রমাণ করতে থাকুক যে, চাণক্য জন্মেছিলেন বাংলাদেশে নেত্রকোণায়, আমারও জন্মস্থান ওই সাবডিবিশনে । এই নিয়ে সাংঘাতিক কথা-কাটাকাটি চলুক সাহিত্যে, অবশেষে চাণক্য-জয়ন্তী করা যাবে আমারই প্রপিতামহের পড়ে ভিটের পরে । তোমাদের ক্যাম্বেলি ডাক্তার তারিণী, সাণ্ডেল মা শীতলার মন্দির নির্মাণের জন্তে চাদ চেয়ে পাড়া অস্থির করে বেড়াক। আসল কথা হচ্ছে, তোমার সব-চেয়ে মাথাউচু গ্রেনেভিয়ার ছেলের দলকে কিছুদিন বাজে ব্যবসায়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে—কেউ বা ওদের বোকা বলুক, কেউ বা বলুক ওরা চতুর বিষয়ী লোক।” * ইন্দ্রনাথ হেসে বললে, “তোমার কথা গুনে আমার ইচ্ছে হচ্ছে একটা ব্যবসায়ে লাগি। আর-কিছুর জন্তে না, কেবল দেউলে হবার কার্বপ্রণালী এবং সাইকোলজি অনুশীলন করবার জন্তে ।” 1. কানাই বললে, “তুমি ষে-ব্যবসায়ে লেগেছ ভায়, সেটা আজ ছ’ক বা কাল হ’ক