পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४°8 রবীন্দ্র-রচনাবলী মানায় বলেই আমি আছি,—এখানে হারও বড়ো জিতও বড়ে । ওরা চারদিকের দরজা বন্ধ করে আমাকে ছোটাে করতে চেয়েছিল, মরতে মরতে প্রমাণ করতে চাই আমি বড়ো। আমার ডাক শুনে কত মানুষের মতো মানুষ মৃত্যুকে অবজ্ঞা করে চারিদিকে এসে জুটল ; সে তো তুমি দেখতে পাচ্ছ কানাই। কেন ? আমি . ডাকতে পারি বলেই। সেই কথাটা ভালো করে জেনে এবং জানিয়ে যাব, তার পরে যা হয় হ’ক । তোমাকে তো বাইরে থেকে একদিন দেখতে ছিল সামান্ত কিন্তু তোমার অসামান্তকে আমি প্রকাশিত করেছি। রসিয়ে তুললুম তোমাদের, মানুষ নিয়ে এই আমার রসায়নের সাধনা । আর বেশি কী চাই ? ঐতিহাসিক মহাকাব্যের সমাপ্তি হতে পারে পরাজয়ের মহাশ্মশানে। কিন্তু মহাকাব্য তো বটে। গোলামি-চাপা এই খর্ব মহন্তত্বের দেশে মরার মতো মরতে পারাও যে একটা সুযোগ।” • “ভায়া, আমার মতো অকাল্পনিক প্রাকৃটিক্যাল লোককেও তুমি টান মেরে এনেছ ঘোরতর পাগলামির তাণ্ডব নৃত্যমঞ্চে। ভাবি যখন, এ রহস্তের অন্ত পাই নে আমি।” “আমি কাঙালের মতো করে কিছুই চাই নে বলেই তোমাদের পরে আমার এত জোর। মায়া দিয়ে ভুলিয়ে লোভ দেখিয়ে ডাকি নে কাউকে। ডাক দিই অসাথ্যের মধ্যে, ফলের জন্যে নয়, বীর্য প্রমাণের জন্তে । আমার স্বভাবটা ইম্পাসেন্তিাল। যা অনিবার্য তাকে আমি অক্ষুব্ধমনে স্বীকার করে নিতে পারি। ইতিহাস তো পড়েছি, দেখেছি কত মহা মহা সাম্রাজ্য গৌরবের অপ্ৰভেদী শিখরে উঠেছিল আজ তার ধুলোয় মিলিয়ে গেছে,—তাদের হিসাবের খাতায় কোথায় মস্ত একটা দেন জমে উঠেছিল যা তারা শোধ করে নি। আর এই দেশ যেহেতু এ আমারই দেশ, সৌভাগ্যের চিরস্বত্ব নিয়ে ইতিহাসের উচু গদিতে গদিয়ান হয়ে বসে থাকবে পরাভবের সমস্ত কারণগুলোর গায়ে সি দুরচন্দন মাখিয়ে ঘণ্টা নেড়ে পুজো করতে করতে, বোকার মতো এমন আবদার করব কার কাছে ? আমি তা কখনোই করি নে। বৈজ্ঞানিকের নির্মোছ মন নিয়ে মেনে নিই যার মরণদশ সে মরবেই।” “তবে ” .. “তবে ! দেশের চরম দুরবস্থা আমার মাথা হেঁট করতে পারবে না, আমি তারও অনেক উর্ধ্বে—আত্মার অবসাদ ঘটতে দেব না মরবার সমস্ত লক্ষণ দেখেও ।” iko

  • ख्यांब्र एश्रांयब्रां !” “তোমরা কি খোকা! মাঝারিয়ায় ষে-জাহাজের তলা গিয়েছে সাত জায়গায় ক্ষক হয়ে, কেঁদে কেটে মন্ত্র পড়ে কর্তার দোহাই পেড়ে তাকে বাঁচাতে পারবে ?”