পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*S* রবীন্দ্র-রচনাবলী একটা উজ্জল নিদর্শন। অবশেষে তুমি চড়লে রেলগাড়িতে সেকেওক্লাসে। আমার দেহুমনকে প্রবল টান দিলে সেই ক্লাসের দিকে। এমন কি, মনে একটা চাতুরীর কল্পনা এসেছিল, ভেবেছিলুম, ট্রেন ছাড়বার শেষমূহুর্তে উঠে পড়ব তোমার গাড়িতে, বলব,—তাড়াতাড়িতে ভুলে উঠেছি। কাব্যশাস্ত্রে মেয়েরাই অভিসার করে এসেছে, • সংসারবিধিতে বাধা আছে বলেই কবিদের এই করুণা। উসখুল-করা মনের যত সব এলোমেলো ইচ্ছে ভিতরের আঁধার কোঠায় ঘুর খেয়ে খেয়ে দেয়ালে মাথা ঠুকে ঠুকে বেড়ায় । এদের কথা মেয়ের পর্দার বাইরে কিছুতে স্বীকার করতে চায় না। তুমি আমাকে স্বীকার করিয়েছ ।” ● “কেন স্বীকার করলে ?” "নারীজাতির গুমর ভেঙে কেবল ওই স্বীকারটুকুই তোমাকে দিতে পেরেছি, আর তো কিছু পারি নি।” হঠাৎ অতীন এলার হাত চেপে ধরে বলে উঠল, “কেন পারলে না ? কিসের বাধা ছিল আমাকে গ্রহণ করতে ? সমাজ ? জাতিভেদ ?” “ছি, ছি, এমন কথা মনেও ক’রে না । বাইরে বাধা নয়, বাধা অস্তরে।” “যথেষ্ট ভালোবাস নি ?” “ওই যথেষ্ট কথাটার কোনো মানে নেই অস্তু। যে শক্তি হাত দিয়ে পর্বতকে ঠেলতে পারে নি তাকে দুর্বল বলে অপবাদ দিয়ে না। শপথ করে সত্য গ্রহণ করেছিলুম, বিয়ে করব না। না করলেও হয়তে বিয়ে সম্ভব হত না ।” “কেন হত না ?” । “রাগ করে না অস্তু, ভালোবাসি বলেই সংকোচ। আমি নিঃস্ব, কতটুকুই বা তোমাকে দিতে পারি ” “স্পষ্ট করেই বলে ।” “অনেকবার বলেছি।” “আবার বলে, আজ সব বলাকওয়া শেষ করে নিতে চাই, এর পরে আর জিজ্ঞাসা করব না ।” JI १ বাইরে থেকে ভাক এল, “দিদিমণি ।” “কী রে অখিল, আয় না ভিতরে ।” ছেলেটার বয়স ষোলো কিংবা আঠারো হবে। জোলো দুইমি-ভরা প্রিয়দর্শন cळ्शबा । cबैंकफ़ ठूण सैंकफ़ांभांकफ़ा, कर्ध्नि लाभला ब्र५, फ्रक्ष्ण cफ्रांपछ्रछे जणअण করছে। খাকি রঙের শর্টপরা, কোমর পর্যন্ত ছাটা সেই রঙেরই একটা বোতাম-খোলী