পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छांब्र वथाग्नि శిహిపె বললে, জগতে একটিমাত্র কর্তব্যের পখ বেঁধে দিয়েছ তোমরা কজনে । তোমাদের সেই শানবাধানে সরকারি কর্তব্যপথে ঘুর খেয়ে কেবলই বুলিয়ে উঠছে আমার জীবনস্রোত ।” 囑 -- - “সরকারি কর্তব্য ?” “ই তোমাদের স্বদেশী কর্তব্যের জগন্নাথের রথ । মন্ত্ৰদাতা বললেন, সকলে মিলে একখানা মোট দড়ি কাধে নিয়ে টানতে থাকো দুই চক্ষু বুজে—এই একমাত্র কাজ । হাজার হাজার ছেলে কোমর বেঁধে ধরল দড়ি । কত পড়ল চাকার তলায়, কত হল চিরজন্মের মতো পদু। এমন সময় লাগল মন্ত্র উলটোরথের যাত্রায়। ফিরল রথ । যাদের হাড় ভেঙেছে তাদের হাড় জোড়া লাগবে না, পঙ্গুর দলকে বাটিয়ে ফেললে পথের ধুলোর গাদায়। আপন শক্তির পরে বিশ্বাসকে গোড়াতেই এমনি করে ঘুচিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, সবাই সরকারি পুতুলের ছাচে নিজেকে ঢালাই করতে দিতে স্পর্ধা করেই রাজি হল । সর্দারের দড়ির টানে সবাই যখন একই নাচ নাচতে গুরু করলে, আশ্চর্ষ হয়ে ভাবলে--একেই বলে শক্তির নাচ। নাচনওআল। যেই একটু আলগা দেয়, বাতিল হয়ে যায় হাজার হাজার মানুষ-পুতুল।” “অঙ্ক, ওদের অনেকেই যে পাগলামি করে পা ফেলতে লাগল, তাল রাখতে পারলে না ।” “গোড়াতেই জানা উচিত ছিল মানুষ বেশিক্ষণ পুতুল-নাচ নাচতে পারে না । মানুষের স্বভাবকে হয়তো সংস্কার করতে পার, তাতে সময় লাগে । স্বভাবকে মেরে ফেলে মানুষকে পুতুল বানালে কাজ সহজ হয় মনে করা ভুল। মানুষকে আত্মশক্তির বৈচিত্র্যবান জীব মনে করলেই সত্য মনে করা হয়। আমাকে সেই জীব বলে শ্রদ্ধা যদি করতে তাহলে আমাকে দলে তোমার টানতে না, বুকে টানতে।”

  • অস্তু, গোড়াতেই কেন আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিলে না ? কেন আমাকে অপরাধী করলে ?”

“সে তো তোমাকে বারবার বলেছি। তোমার সঙ্গে মিলতে চেয়েছিলুম এইটে অত্যন্ত সহজ কথা । দুর্জয় সেই লোভ। প্রচলিত পথটা ছিল বন্ধ। মরিয়া হয়ে জীবন পণ করলুম বাক পথে। তুমি মুগ্ধ হলে। আজ জেনেছি আমাকে মরতে হবে এই রাস্তায় । সেই মরাট চুকে গেলে তুমি আমাকে দু-হাত বাড়িয়ে ফিরে ডাকবে— ডাকবে তোমার শূন্ত বুকের কাছে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত।”

  • পায়ে পড়ি, অমন করে বলে না।” . 购 “বোকার মতো বলছি, রোমাটিক শোনাচ্ছে যেন দেহহীন বস্তহীন পাওয়াকে