পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sめb" রবীন্দ্র-রচনাবলী “তবে সে-পথ তোমারও নয়। ফিরে এস, ফিরে এস।” “পথ আমার নয়, আমিই পথের। গলার ফাসকে গলার গয়না কেউ বলে না।” “অন্ত, নিশ্চয় জেনে, তুমি চলে গেলে একমুহূর্ত আমি বঁচিব না। তুমি ছাড়া আর কেউ নেই আমার, এ-কথায় আজ যদি বা সন্দেহ কর, একান্ত মনে আশু করি মৃত্যুর পরে সে সন্দেহ সম্পূর্ণ ঘোচাবার একটা কোনো রাস্ত কোথাও আছে।” হঠাৎ অতীন লাফিয়ে উঠে দাড়াল। তীরের মতে তীক্ষ হইলের শষ এল দূর থেকে। চমকে বলে উঠল, “চললুম।” এল৷ তাকে জড়িয়ে ধরলে, বললে, “আর-একটু থাকো ।” "ן וב" “কোথায় যাচ্ছ ?” “কিছু জানি নে ৷” এলা অতীনের পা জড়িয়ে ধরে বললে, “আমি তোমার সেবিকা, তোমার চরণের সেবিকা, আমাকে ফেলে যেয়ে না, কেলে যেয়ে না।” একটুক্ষণ থমকে দাড়িয়ে রইল অতীন। দ্বিতীয়বার হুইস্লের শব্দ এল । অতীন গর্জন করে বললে, “ছেড়ে দাও।” বলে নিজেকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল । তখন সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। এল মেঝের উপর উপুড় হয়ে পড়ে। তার বুকের ভিতরটা শুকিয়ে গেছে, তার চোখে জল নেই। এমন সময় গভীর গলার ডাক শুনতে পেল, “এলা ।” চমকে উঠে বসল। দেখলে ইলেকটিক্ টর্চ হাতে ইন্দ্রনাথ। তখনই উঠে দাড়িয়ে বললে, “ফিরিয়ে আমুন অঙ্ককে ” “সে-কথা থাকৃ। এখানে কেন এলে ?” “বিপদ আছে জেনেই এসেছি।” তীব্র ভংগনার সুরে ইন্দ্রনাথ বললেন, “তোমার বিপদের কথা কে ভাবছে ? এখানকার খবর তোমাকে কে দিলে ?” “বটু।” “তৰু বুঝলে না মতলব ?” “বোঝবার বুদ্ধি আমার ছিল না। প্রাণ ছাপিয়ে উঠেছিল।” “তোমাকে মারতে পারলে এখনই মারভূম । যাও ঘরে ফিরে । ট্যাকৃলি আছে বাইরে।” &