পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ॉब्रख्यथjiग्न లR9 ফিরে এল অতীন । এল জিজ্ঞাসা করলে, “কী হল, অন্তু ?” অতীন বললে “অখিল গেছে । ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।” “আর সেই লোকটি ?” "তাকেও দিয়েছি ছেড়ে সে বসে বসে ভাবছিল কাজে ফাকি দিয়ে আমি বুঝি কেবল গল্পই করছি। যেন নতুন একটা আরব্য উপন্যাস শুরু হয়েছে। আরব্য উপন্যাসই বটে, সমস্তটাই গল্প, একেবারেই আজগবি গল্প। ভয় করছে এল ? আমাকে ভয় নেই তোমার ?” * l * “তোমাকে ভয়, কী যে বল ।” “কী না করতে পারি আমি ! পড়েছি পতনের শেষ সীমায় । সেদিন আমাদের দল অনাথ বিধবার সর্বস্ব লুঠ করে এনেছে । মন্মথ ছিল বুড়ীর গ্রামসম্পর্কে চেনা লোক – খবর দিয়ে পথ দেখিয়ে সে-ই এনেছে দলকে । ছদ্মবেশের মধ্যেও বিধবা তাকে চিনতে পেরে বলে উঠল, মহ, বাবা তুই এমন কাজ করতে পারলি ? তার পরে বুড়ীকে আর বঁাচতে দিলে না। যাকে বলি দেশের প্রয়োজন সেই আত্মধর্মনাশের প্রয়োজনে টাকাটা এই হাত দিয়েই পৌছেছে যথাস্থানে। আমার উপবাস ভেঙেছি সেই টাকাতেই। এতদিন পরে যথার্থ দাগি হয়েছি চোরের কলঙ্কে, চোরাই মাল দুয়েছি, ভোগ করেছি। চোর অতীন্দ্রের নাম বটু ফাস করে দিয়েছে। পাছে প্রমাণাভাবে শাস্তি না পাই বা অল্প শাস্তি পাই সেইজন্য পুলিস-সুপারিন্টেণ্ডেন্টের মারফত সে-মকদম ইংরেজ ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে দায়ের না হয়ে যাতে বাঙালি জয়ন্ত হাজরার এজলাসে ওঠে কমিশনরের কাছ থেকে সেই হুকুম আনাবে বলে মন্ত্রণা করে রেখেছে । সে নিশ্চিত জানে, কাল ধরা পড়বই । ইতিমধ্যে ভয় ক’রে আমাকে, আমি নিজে ভয় করি আমার মৃত আত্মার কালে ভূতটাকে । আজ তোমার ঘরে কেউ নেই।” - , "কেন, তুমি আছ।” “আমার হাত থেকে বাচাবে কে ?” “নেই বা বাচালে ।” 顿 “তোমারই আপন মণ্ডলীতে একদিন যারা ছিল এলাদির সব দেশভাই—ভাইফোট৷ দিয়েছ স্বাদের কপালে প্রতিবৎসর—তাদেরই মধ্যে কথা উঠেছে যে তোমার বেঁচে থাকা উচিত নয় ।” “তাদের চেয়ে বেশি অপরাধ আমি কী করেছি ?” “অনেক কথা জান তুমি, অনেকের নামধাম। পীড়ন করলেবেরিয়ে পড়বে।”