পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতক তিনি বলেন, তার সাধনা বড়োই সুকঠোর, আর কিছু নয়, শুধুই মনের জোর, অষ্টাবক্র জমদগ্নি প্রভৃতি সব ঋষির সঙ্গে তুল্য, মেয়েমানুষ বুঝবে না তার মূল্য । অস্তঃশীলা অশ্র নদীর নীরব নারে দুটি নারীর দিন বয়ে যায় ধীরে । অবশেষে বৈশাখে এক রাতে মঞ্জুলিকার বিয়ে হল পঞ্চাননের সাথে । বিদায়বেলায় মেয়েকে বাপ বলে দিলেন মাথায় হস্ত ধরি “হও তুমি সাবিত্রীর মতো এই কামনা করি ।” কিমাশ্চর্যমতঃপরং, বাপের সাধন-জোরে আশীর্বাদের প্রথম অংশ দু-মাস যেতেই ফলল কেমন করে— পঞ্চাননকে ধরল এসে যমে ; কিন্তু মেয়ের কপালক্রমে ফলল না তার শেষের দিকটা, দিলে না যম ফিরে, মঞ্জুলিকা বাপের ঘরে ফিরে এল সি দুর মুছে শিরে । দুঃখে সুখে দিন হয়ে যায় গত স্রোতের জলে ঝরে-পড়া ভেসে-যাওয়া ফুলের মতে, অবশেষে হল মঞ্জুলিকার বয়স ভরা ষোলো । কখন শিশুকালে হৃদয়-লতার পাতার অন্তরালে বেরিয়েছিল একটি কুঁড়ি প্রাণের গোপন রহস্ততল ফুড়ি ; জানত না তো আপনাকে সে, শুধায় নি তার নাম কোনোদিন বাহির হতে খেপা বাতাস এসে, 잇업