পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ф3 е রবীন্দ্র-রচনাবলী الجيد ক্ষুদ্রতাতেই মানুষের যদি শেষ হইত, তবে দুঃখের মতো অসংগত কিছুই হইতে পারিত না। এত দু:খ ক্ষুত্রের নহে। মহতেরই গৌরব দুঃখ । বিশ্বসংসারের মধ্যে মহাত্বই সেই দুঃখের মহিমায় মহীয়ান অশ্রজলেই তাহার রাজ্যাভিষেক হইয়াছে। পুষ্পের দুঃখ নাই, পশুপক্ষীর দুঃখসীমা সংকীর্ণ- মানুষের দুঃখ বিচিত্র, তাহ গভীর, অনেক সময়ে তাহ অনির্বচনীয়—এই সংসারের মধ্যে তাহার বেদনার সীমা যেন সম্পূর্ণ করিয়া পাওয়া যায় না । এই দুঃখই মানুষকে বৃহৎ করে, মানুষকে আপন বৃহত্ত্বসম্বন্ধে জাগ্রত-সচেতন করিয়া তোলে, এবং এই বৃহত্বেই মানুষকে আনন্দের অধিকারী করিয়া তোলে। কারণ, ভূমৈৰ স্বধং, নাল্পে মুখমস্তি—জল্পে জামাদের জানন্দ নাই। যাহাতে আমাদের খর্বতা, আমাদের স্বল্পতা, তাহ অনেক সময়ে আমাদের আরামের হইতে পারে, কিন্তু তাহা আমাদের আনন্দের নহে। যাহা আমরা বীর্ষের দ্বারা না পাই, অশ্রুর দ্বারা না পাই, যাহা অনায়াসের তাহা আমরা সম্পূর্ণ পাই না - যাহাকে দুঃখের মধ্য দিয়া কঠিনভাবে লাভ করি, হৃদয় তাহাকেই নিবিড়ভাবে সমগ্রভাবে প্রাপ্ত হয়। মনুষ্যত্ব আমাদের পরমদুঃখের ধন, তাহা বীর্ষের দ্বারাই লভ্য। প্রত্যহ পদে পদে বাধা অতিক্রম করিয়া যদি তাহাকে পাইতে ন হইত, তবে তাহাকে পাইয়াও পাইতাম না—যদি তাহা সুলভ হইত, তবে আমাদের হৃদয় তাহাকে সর্বতোভাবে গ্রহণ করিত না । কিন্তু তাহা দুঃখের দ্বারা দুর্লভ, তাহা মৃত্যুশঙ্কার দ্বারা দুর্লভ, তাহা ভয়-বিপদের দ্বারা দুর্লভ, তাহা নানাভিমুখী প্রবৃত্তির সংক্ষোভের দ্বারা দুলভ । এই দুর্লভ মনুষ্যত্বকে অর্জন করিবার চেষ্টায় আত্মা আপনার সমস্ত শক্তি অনুভব করিতে থাকে। সেই অনুভূতিতেই তাহার প্রকৃত আনন্দ । ইহাতেই তাহার যথার্থ আত্মপরিচয় । ইহাতেই সে জানিতে পায়, দুঃখের উর্ধ্বে তাহার মন্তক, মৃত্যুর উর্ধ্বে তাহার প্রতিষ্ঠা । এইরূপে সংসারের বিচিত্র অভিঘাতে, দুঃখবাধার সহিত নিরস্তর সংগ্রামে যে আত্মার সমস্ত শক্তি জাগ্রত, সমস্ত তেজ উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিয়াছে, সেই আত্মাই ব্রহ্মকে যথার্থভাবে লাভ করিবার উদ্যম প্রাপ্ত হয় –স্কুদ্র আরামের মধ্যে, ভোগবিলাসের মধ্যে যে আত্মা জড়ত্বে আবিষ্ট হইয়া আছে, ব্রহ্মের আনন্দ তাহার নহে। সেইজন্য উপনিষদ বলিয়াছেন - লারমাঙ্কা বলহীজেন লভ্যঃ । ७श् चांच्चt (छोबांच्चाई बण, *ब्रवांज्राई दल ) हेनि दणशेरनग्न लांब्रॉ जख्ण नरश्न । সমগ্র শক্তিকে সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করিবার যত উপলক্ষ্য ঘটে, ততই আত্মাকে প্রকৃতভাবে লাভ করিবার উপায় হয়। এইজন্তই পুষ্পের পক্ষে পুষ্পৱ যত সহজ, মানুষের পক্ষে মন্থন্তত্ব তত সহজ নছে।