পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بbجد রবীন্দ্র-রচনাবলী সেই কুঁড়ি আজ অস্তরে তার উঠছে ফুটে মধুর রসে ভরে উঠে । সে যে প্রেমের ফুল আপন রাঙা পাপড়িভারে আপনি সমাকুল । আপনাকে তার চিনতে যে আর নাইকো বাকি, তাইতে থাকি থাকি চমকে ওঠে নিজের পানে চেয়ে । আকাশপারের বাণী তারে ডাক দিয়ে যায় আলোর ঝরনা বেয়ে ; রাতের অন্ধকারে কোন অসীমের রোদনভরা বেদন লাগে তারে । বাহির হতে তার ঘুচে গেছে সকল অলংকার ; অন্তর তার রাঙিয়ে ওঠে স্তরে স্তরে, তাই দেখে সে আপনি ভেবে মরে । কখন কাজের ফঁাকে জানলা ধরে চুপ করে সে বাইরে চেয়ে থাকে— যেখানে ওই শজনে গাছের ফুলের ঝুরি বেড়ার গায়ে রাশি রাশি হাসির ঘায়ে আকাশটারে পাগল করে দিবসরাতি । যে ছিল তার ছেলেবেলার খেলাঘরের সাখি আজি সে কেমন করে জলস্থলের হৃদয়খানি দিল ভরে । অরূপ হয়ে সে যেন আজ সকল রূপে রূপে মিশিয়ে গেল চুপে চুপে । পায়ের শব্দ তারি মর্মরিত পাতায় পাতায় গিয়েছে সঞ্চারি । কানে কানে তারি করুণ বাণী মৌমাছিদের পাখার গুনগুনানি ।