পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম । ‘LV` সন্ধান করিব না, ঘাহা আমাদের ধীশক্তিতেই প্রকাশিত তাহাকেই আমরা উপলব্ধি করিব, ইহাই আমাদের ধ্যানের লক্ষ্য । আমাদের প্রাচীন ভারতবর্ষের ধর্ম এইরূপ সরল, এইরূপ উদার, এইরূপ অন্তরঙ্গ, তাহাতে স্বরচিত কল্পনাকুহকের স্পর্শ নাই। " জীবনযাত্রাসম্বন্ধেও ভারতবর্ষের উপদেশ এইরূপ সরল এবং মূলগামী । ভারতবর্ষ বলে— नप्डांवर झनि नरशांग्र श्वार्थे नरवट्ठा छरव९ ।। মুখার্থী সত্তোৰকে হৃদয়ের মধ্যে স্থাপন করিয়া সংঘত হইবেন। মুখ যিনি চান তিনি সন্তোষকে গ্রহণ করিবেন, সন্তোষ যিনি চান তিনি সংযম অভ্যাস করিবেন। এ-কথা বলিবার তাৎপর্ব এই যে, মুখের উপায় বাহিরে নাই, তাহা অস্তরেই আছে—তাহ উপকরণজালের বিপুল জটিলতার মধ্যে নাই, তাহ সংযত চিত্তের নির্মল সরলতার মধ্যে বিরাজমান । উপকরণসঞ্চয়ের আদি-অন্ত নাই, বাসনাবহিতে যত আহুতি দেওয়া যায়, সমস্ত ভস্ম হইয়া ক্ষুধিতশিখা ক্রমশই বিস্তৃত হইতে থাকে, ক্রমেই সে নিজের অধিকার হইতে পরের অধিকারে যায়, তাহার লোলুপত ক্রমেই বিশ্বের প্রতি দারুণভাব ধারণ করে । সুখকে বাহিরে কল্পনা করিয়া বিশ্বকে মৃগয়ার মৃগের মতো নিষ্ঠুরবেগে তাড়না করিয়া ফিরিলে জীবনের শেষমূহুর্ত পর্যন্ত কেবল ছুটাছুটিই সার হয়। এবং পরিণামে শিকারির উদাম অশ্ব তাহাকে কোন অপঘাতের মধ্যে নিক্ষেপ করে, তাহার উদ্দেশ পাওয়া যায় না । এইরূপ উন্মত্তভাবে যখন আমরা ছুটিতে থাকি, তখন আমাদের আগ্রহের অসহবেগে সমস্ত জগৎ অস্পষ্ট হইয়া যায়। আমাদের চারিদিকে পদে পদে যে-সকল অযাচিত আনন্দ প্রভূত প্রাচুর্ধের সহিত অহরহ প্রতীক্ষা করিয়া আছে, তাহাদিগকে অনায়াসেই আমরা লঙ্ঘন করিয়া, দলন করিয়া, বিচ্ছিন্ন করিয়া চলিয়া যাই । জগতের অক্ষয় আনন্দের ভাণ্ডারকে আমরা কেবল ছুটিতে ছুটতেই দেখিতে পাই না । এইজন্যই ভারতবর্ষ বলিতেছেন— 臺 প্রবৃত্তিৰেঙ্গ সংঘত করে । চাঞ্চল্য দূর হইলেই সন্তোষের স্তব্ধতার মধ্যে জগতের সমস্ত বৃহৎ আনন্দগুলি আপনি প্রকাশিত হইবে । গতিবেগের প্রমত্ততাবশতই আমরা সংসারের যে-সকল স্নেহ-প্রেমসৌন্দর্ধকে, প্রতিদিনের শতশত মঙ্গলভাবের আদানপ্রদানকে লক্ষ্য করিতে পারি নাই, সংষত হইয়া স্থির হইয় তাহাঙ্গের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই তাঁহাদের ভিতরকার সমস্ত ঐশ্বৰ অতি সহজেই অবারিত হইয়া যায় । * † যাহা নাই, তাহারই শিকারে বাহির হইতে হইবে, ভারতবর্ষ এ পরামর্শ দেয় না— وم 8دستسهيلاج