পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थभ අාදාථා সন্ধান পাইবার জন্য। মনে করিতেছি—টাক খুজিতেছি, বন্ধু খুজিতেছি, মান খুজিতেছি ; কিন্তু আসলে আর-কিছু নয়, কাহাকে ষে খুজিতেছি, তাহাই নানাস্থানে খুজিয়া বেড়াইতেছি—আমার প্রার্থনা কী, তাহাই জানি না । যাহারা আপনাদের অস্তরের প্রার্থনা খুজিয়া পাইয়াছেন বলেন,-শোনা গিয়াছে র্তাহারা কী বলেন । র্তাহারা বলেন, একটিমাত্র প্রার্থনা আছে তাহা এই— আসতে মা সদগময় তমসে মা জ্যোতির্গমর মৃতোর্মামৃতং গময় । श्रांदिब्रांरौौर्भ 4शि । ब्रज् ब८ख नििiं भूष१ তেন মাং পাছি নিত্যম্ । অসত্য হইতে আমাকে সত্যে লইয়া বাও, অন্ধকার হইতে আমাকে জ্যোতিতে লইয়া যাও, মৃত্যু হইতে আমাকে অমৃতে লইয়া যাও । হে স্বপ্রকাশ, আমার নিকটে প্রকাশিত হও। রুদ্র, তোমার যে প্রসন্ন মুখ, তাহার দ্বারা আমাকে সর্বদাই রক্ষা করে । কিন্তু কানে শুনিয়া কোনো ফল নাই এবং মুখে উচ্চারণ করিয়া যাওয়া আরও বৃথা । আমরা যখন সত্যকে আলোককে অমৃতকে যথার্থ চাহিব, সমস্ত জীবনে তাহার পরিচয় দিব, তখনই এ-প্রার্থনা সার্থক হইবে । যে প্রার্থনা আমি নিজে মনের মধ্যে পাই নাই, তাহ পূর্ণ হইবার কোনো পথ আমার সম্মুখে নাই। অতএব, সবই শুনিলাম বটে, মন্ত্রও কর্ণগোচর হইল—কিন্তু তবু এখনও প্রার্থনা করিবার পূর্বে প্রার্থনাটিকে সমস্ত জীবন দিয়া খুজিয়া পাইতে হইবে । বনস্পতি হইয়া উঠিবার একমাত্র প্রার্থনা বীজের শস্তাংশের মধ্যে সংহতভাবে নিগৃঢ়ভাবে নিহিত হইয়া আছে—কিন্তু যতক্ষণ তাহা অঙ্কুরিত হইয়া আকাশে আলোকে মাথা না তুলিয়াছে, ততক্ষণ তাহা না থাকারই তুল্য হইয়া আছে। সত্যের আকাঙ্ক্ষা, অমৃতের আকাঙ্ক্ষা আমাদের সকল আকাজক্ষার অন্তর্নিহিত, কিন্তু ততক্ষণ আমরা তাহাকে জানিই না, যতক্ষণ না সে আমাদের সমস্ত ধূলিস্তর বিদীর্ণ করিয়া মুক্ত আকাশে পাতা মেলিতে পারে । 雷 আমাদের এই যথার্থ প্রার্থনাটি কী, তাহা অনেক সময় অন্তের ভিতর দিয়া আমাদিগকে জানিতে হয়। জগতের মহাপুরুষেরা আমাদিগকে নিজের অন্তগূঢ় ইচ্ছাটিকে জানিবার সহায়তা করেন। আমরা চিরকাল মনে করিয়া আসিতেছি, আমরা বুঝি পেট ভরাইতেই চাই, আরাম করিতেই চাই- কিন্তু যখন দেখি, কেহ ধন-মানআরামকে উপেক্ষা করিয়া সত্য, আলোক ও অমৃতের জন্য জীবন উৎসর্গ করিতেছেন,