পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী وانهيانكا মস্তকে নিক্ষেপ করিয়া থাকুক, কার্ধে যে-কোনো বাধা, প্রণয়ে যে-কোনো আঘাত, লোকের নিকট হইতে যে-কোনো প্রতিকূলতা দ্বারা আমাকে পীড়ন করিয়া থাক—তবু তাহাকে আমার মস্তকের উপরে তোমারই আশিস-হস্তম্পর্শ বলিয়া অদ্য তাহাকে প্রণাম করিতেছি । গত বৎসরের প্রথম দিন নীরব স্মিতমুখে তাহার বস্ত্রাঞ্চলের মধ্যে তোমার নিকট হইতে আমার জন্য কী লইয়া আসিয়াছিল সেদিন তাহা আমাকে জানায় নাই— আমাকে কী ষে দান করিল আজ তাহাও আমাকে বলিয়া গেল না, মুখ আবৃত করিয়া নিঃশব্দপদে চলিয়া গেল। দিনে রাত্রিতে আলোকে অন্ধকারে তাহার সুখদুঃখের দূতগুলি আমার হৃদয়গুহাতলে কী সঞ্চিত করিয়া গেল সে-সম্বন্ধে জ্ঞার অনেক ভ্রম আছে, আমি নিশ্চয় কিছুই জানি না,--একদিন তোমার আদেশে ভাণ্ডারের দ্বার উদঘাটিত হইলে যাহা দেখিব তাহার জন্ত আগে হইতেই অষ্ঠ সন্ধ্যায় বর্ষাবসানকে ভক্তির সহিত প্ৰণতি করিয়া কৃতজ্ঞতার বিদায় সম্ভাষণ জানাইতেছি । এই বর্ষশেষের শুভ সন্ধ্যায় হে নাথ, তোমার ক্ষমা মস্তকে লইয়া সকলকে ক্ষমা করি, তোমার প্রেম হৃদয়ে অনুভব করিয়া সকলকে প্রীতি করি, তোমার মঙ্গলভাব ধ্যান করিয়া সকলের মঙ্গল কামনা করি। আগামী বর্ষে যেন ধৈর্যের সহিত সহ করি, বীর্যের সহিত কর্ম করি, আশার সহিত প্রতীক্ষা করি, আনন্দের সহিত ত্যাগ করি এবং ভক্তির সহিত সর্বদা সর্বত্র সঞ্চরণ করি । ও একমেবাদ্বিতীয়ম سb • لشت نه নববর্ষ যে অক্ষর পুরুষকে আশ্রয় করিয়া অহোরাত্রণাধর্মাস মাস ঋতৰ সম্বৎসর ইতি বিধৃতান্তিচন্তি, विन यक्र ब्रान्जि, प्रिक्र ७क्र भाग, शङ्क अक्९ नव९नम्न विश्रुङ श्हेब्र अवििछ कब्रि८ठtइ, তিনি অদ্য নববর্ষের প্রথম প্রাতঃস্বৰ্যকিরণে আমাদিগকে স্পর্শ করিলেন । এই স্পর্শের দ্বারা তিনি তাহার জ্যোতিলোকে তাহার আনন্দলোকে আমাদিগকে নববর্ষের আহবান প্রেরণ করিলেন। তিনি এখনই কহিলেন, পুত্র, আমার এই নীলাম্বরবেষ্টিত তৃণধান্তামল ধরণীতলে তোমাকে জীবন ধারণ করিতে বর দিলাম—তুমি আনন্দিত হও, তুমি বললাভ করে । • 画 প্রাস্তরের মধ্যে পুণ্যনিকেতনে নববর্ষের প্রথম নির্মল আলোকের দ্বারা আমাদের অভিষেক হইল। আমাদের নবজীবনের অভিষেক । মানবজীবনের যে মহোচ্চ