পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম அவு সিংহাসনে বিশ্ববিধাতা আমাদিগকে বসিতে স্থান দিয়াছেন তাহ আজ আমরা নবগৌরবে অনুভব করিব। আমরা বলিব, হে ব্ৰক্ষাগুপতি, এই ষে অরুণরাগরক্ত নীলাকাশের তলে আমরা জাগ্রত হইলাম আমরা ধন্ত । এই ষে চিরপুরাতন অন্নপূর্ণ বসুন্ধরাকে আমরা দেখিতেছি আমরা ধন্ত । এই যে গীতগন্ধবর্ণম্পন্দনে আন্দোলিত বিশ্বসরোবরের মাঝখানে আমাদের চিত্তশতদল জ্যোতিঃপরিপ্লাবিত আনস্তের দিকে উদ্ভিন্ন হুইয়া উঠিতেছে আমরা ধন্ত । অস্তকার প্রভাতে এই যে জ্যোতিধারা আমাদের উপর বর্ষিত হইতেছে ইহার মধ্যে তোমার অমৃত আছে, তাহা ব্যর্থ হুইবে না, তাহা আমরা গ্ৰহণ করিব ; এই যে বৃষ্টিধৌত বিশাল পৃথিবীর বিস্তীর্ণ খামলতা ইহার মধ্যে তোমার অমৃত ব্যাপ্ত হইয়া আছে তাহ ব্যর্থ হইবে না, তাহা আমরা গ্রহণ করিব , এই যে নিশ্চল মহাকাশ আমাদের মস্তকের উপর তাহার স্থির হস্ত স্থাপন করিয়াছে তাহা তোমারই অমৃতভারে নিস্তন্ধ তাহ ব্যর্থ হইবে না, তাহা আমরা গ্রহণ করিব । এই মহিমান্বিত জগতে অস্তকার নববর্বদিন আমাদের জীবনের মধ্যে ষে গৌরব বহন করিয়া আনিল, এই পৃথিবীতে বাস করিবার গৌরব, এই আলোকে বিচরণ করিবার গৌরব, এই আকাশতলে আসীন হইবার গৌরব তাহ যদি পরিপূর্ণভাবে চিত্তের মধ্যে গ্রহণ করি তবে আর বিষাদ নাই, নৈরাপ্ত নাই, ভয় নাই, মৃত্যু নাই। তবে সেই ঋষিবাক্য বুঝিতে পারি— কোহে বাস্তাৎ কঃ প্রোণ্যাৎ যদেব আকাশ আনন্দো ন স্যাৎ । কেই বা শরীরচেষ্টা করিত কেই বা প্রাণধারণ করিত যদি এই আকাশে আনন্দ না থাকিতেন। আকাশ পরিপূর্ণ করিয়া তিনি আনন্দিত তাই আমার হৃৎপিণ্ড স্পন্দিত, আমার রক্ত প্রবাহিত, আমার চেতনা তরঙ্গিত। তিনি আনন্দিত তাই স্বৰ্ষলোকের বিরাট যজ্ঞহোমে অগ্নি-উৎস উৎসারিত ; তিনি আনন্দিত তাই পৃথিবীর সর্বাঙ্গ পরিবেষ্টন করিয়া তৃণমূল সমীরণে কম্পিত হইতেছে ; তিনি আনন্দিত তাই গ্রহে নক্ষত্রে আলোকের অনন্ত উৎসব। আমার মধ্যে তিনি আনন্দিত তাই আমি আছি—তাই আমি গ্ৰহতারকার সহিত বিশ্বের সহিত আমার সমান মর্যাদা । তাহার প্রতিনিমেষের ইচ্ছাই আমাদের প্রতিমুহূর্তের অস্তিত্ব, আজ নববর্ষের দিনে ७हे कथां शक् िखेललखेि कब्रि-जांभां८मब्र य6षा उँींशद्ध अच्कब्र उवांनन्ल युक् िरष्ठक श्रृंडैौबडां८व অন্তরে উপভোগ করি—তবে সংসারের কোনো বা ঘটনাকে আমার চেয়ে প্রবলতর