পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইতে আমাকে মুক্ত করো ; মৃত্যু হইতে আমাকে অমৃতে লইয়া যাও,—আমার প্রবৃত্তি । আমাকে মৃত্যুদোলায় চড়াইয়া দোল দিতেছে, মুহূর্তকাল অবসর দিতেছে না ; আমার মধ্যে আমার ইচ্ছাগুলাকে খর্ব করিয়া আমার মধ্যে তোমার আনন্দকে প্রকাশমান করে, সেই আনন্দই অমৃতলোক । -- _ আজিকার নববর্ঘদিনে ইহাই আমাদের বিশেষ প্রার্থনা । সত্য, আলোক ও অমৃতের জন্য আমরা করপুট করিয়া দাড়াইয়াছি। বলিতেছি— আবিয়াৰীর্মএধি । হে স্বপ্রকাশ, তুমি আমাদের নিকটে প্রকাশিত হও । অস্তরে বাহিরে তুমি উদ্ভাসিত হইলেই, প্রবৃত্তির দাসত্ব জগতের দৌরাত্ম্য কোথায় চলিয়৷ যায়—তখন তোমার মধ্যে সমস্ত দেশকালের একটি অনবচ্ছিন্ন সামঞ্জস্ত একটি পরিপূর্ণ সমাপ্তি দেখিয়া সুগভীর শাস্তির মধ্যে আমরা নিমগ্ন ও নিস্তব্ধ হইয়া যাই । তখন, যে চেষ্টাইন বলে সমস্ত জগৎ সহজে বিধৃত তাহা আমাদের হৃদয়ে অবতীর্ণ হয়, যে চেষ্টাহীন সৌন্দর্ষে নিখিল ভূবন পরস্পর গ্রথিত তাহা আমাদের জীবনে আবিষ্কৃত হয়। তখন আমি যে তোমাকে আত্মসমর্পণ করিতেছি এ-কথা মনে থাকে না—তোমার সমস্ত জগতের এক সঙ্গে তুমিই আমাকে লইতেছ এই কথাই আমার মনে হয়। সেই স্বপ্রকাশ যতদিন না আমাদের নিকটে আপনাকে প্রকাশ করিবেন ততদিন যেন নিজের ভিতর হইতে র্তাহার দিকে বাহির হইবার একটা দ্বার উন্মুক্ত থাকে। সেই পথ দিয়া প্রত্যহ প্রভাতে র্তাহার কাছে নিজেকে উৎসর্গ করিয়া আসিতে পারি। আমাদের জীবনের একটা দিনের সহিত আর-একটা দিনের যে বন্ধন সে যেন শুধু স্বার্থের বন্ধন না হয়, জড় অভ্যাস-স্থত্রের বন্ধন না হয়—একটা বৎসরের সহিত আরএকটা বৎসরকে যেন প্রাত্যহিক নিবেদনের দ্বারা তাহারই সম্বন্ধে আবদ্ধ করিয়া সম্পূর্ণ করিয়া তুলিতে পারি। এমন কোনো স্বত্ৰে যেন মানবজীবনের দুর্লভ মুহূর্তগুলিকে না বাধিতে থাকি যাহা মৃত্যুর স্পর্শমাত্রে বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়। জীবনের যে বৎসরট গেছে তাহ পূজার পদ্মের স্তায় তাহাকে উৎসর্গ করিতে পারি নাই—তাহার তিন শত পয়ষট্টি দল দিনে দিনে ছিন্ন করিয়া লইয়া পঙ্কের মধ্যে ফেলিয়া দিয়াছি । অন্ত বৎসরের অমুদঘাটিত প্রথম মুকুল স্বর্ধের আলোকে মাথা তুলিয়াছে ইহাকে আময় খণ্ডিত করিব না, সৌন্দর্বে সৌগক্ষ্যে শুভ্রতায় ইহাকে সম্পূর্ণ করিয়া তুলিব। তাহা কখনোই অসাধ্য নছে—লে-শক্তি আমাদের মধ্যে আছে— on নাত্মানমবমন্তেত । निएखएक अन्भांन च्षयछळ कबिtब्र मां ।