পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8為● রবীন্দ্র-রচনাবলী ও মারী আমাদিগকে মৃত্যুর মধ্যে নিমজ্জিত না করিয়া সচেষ্টতর জীবনের দিকে আকর্ষণ করে। দুঃখ আমাদের শক্তির কারণ হউক, শোক আমাদের মুক্তির কারণ হউক, এবং লোকভয় রাজভয় ও মৃত্যুভয় আমাদের জয়ের কারণ হউক। বিপদের কঠোর পরীক্ষায় আমাদের মনুষ্যত্বকে সম্পূর্ণ সপ্রমাণ করিলে তবেই, হে রুদ্র, তোমার দক্ষিণমুখ আমাদিগকে পরিত্রাণ করিবে ; নতুবা অশক্তের প্রতি অনুগ্রহ, অলসের প্রতি প্রশ্রয়, ভীরুর প্রতি দয়া কদাচই তাহা করিবে না—কারণ সেই দয়াই দুৰ্গতি, সেই দয়াই অবমাননা ; এবং হে মহারাজ, সে দয়া তোমার দয়া নহে। >\つ>8 শান্তং শিবমদ্বৈতম্ অনন্ত বিশ্বের প্রচণ্ড শক্তিসংঘ দশদিকে ছুটিয়াছে, যিনি শাস্তং, তিনি কেন্দ্রস্থলে ধ্রুব হইয়া অচ্ছেদ্য শাস্তির বল্লা দিয়া সকলকেই বাধিয়া রাখিয়াছেন, কেহ কাহাকেও অতিক্রম করিতে পারিতেছে না । মৃত্যু চতুর্দিকে সঞ্চরণ করিতেছে কিন্তু কিছুই ধ্বংস করিতেছে না, জগতের সমস্ত চেষ্টা স্ব স্ব স্থানে একমাত্র প্রবল কিন্তু তাহাদের সকলের মধ্যে আশ্চর্য সামঞ্জস্ত ঘটিয়া অনন্ত আকাশে এক বিপুল সৌন্দর্ষের বিকাশ হইতেছে। কতই ওঠাপড়া কতই ভাঙাচোরা চলিতেছে, কত হানাহানি কত বিপ্লব, তবু লক্ষ লক্ষ বৎসরের অবিশ্রাম আঘাতচিহ্ন বিশ্বের চিরনূতন মুখচ্ছবিতে লক্ষ্যই করিতে পারি না । সংসারের অনন্ত চলাচল অনন্ত কোলাহলের মর্মস্থান হইতে নিত্যকাল এক মন্ত্র ধ্বনিত হইতেছে শাস্তি: শাস্তি: শাস্তি: । যিনি শাস্তং তঁহারই আনন্দমূর্তি চরাচরের মহাসনের উপরে ধ্রুবরূপে প্রতিষ্ঠিত । আমাদের অন্তরাত্মাতেও সেই শাস্তং যে নিয়ত বিরাজ করিতেছেন, তাহার সাক্ষাংলাভ হইবে কী উপায়ে ? সেই শাস্তস্বরূপের উপাসনা করিতে হুইবে কেমন করিয়া ? তাহার শাস্তরূপ আমাদের কাছে প্রকাশ হুইবে কবে ? & আমরা নিজের শাস্ত হইলেই সেই শাস্তস্বরূপের আবির্ভাব আমাদের কাছে. মুম্পষ্ট হইবে। আমাদের অতিক্ষুদ্র অশাস্তিতে জগতের কতখানি ষে আচ্ছন্ন হইয় পড়ে, তাহা কি লক্ষ্য করিয়া দেখি নাই ? নিভৃত নীতীরে প্রশান্ত সন্ধ্যায় আমরা দুজনমাত্র লোক যদি কলহ করি, তবে সায়াহের যে অপরিমেয় স্নিগ্ধ নিঃশৰত আমাদের পদতলের তৃণাগ্র হইতে আরম্ভ করিয়া সুদূরতম নক্ষত্ৰলোক পৰ্যন্ত পরিব্যাপ্ত হইয়া আছে, DDD BBB BBBB BBBD DDD BBBBB BB BDD DDDDDSDDDD