পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिदक्छि कदिइ चबा-िचनच्कान दिन ररेवा आरश्न। अरेवछ चोबारक्क बोक्रनब gDD BDD DDBSBBB BB BBBBB BBBS S পরে শিবম্ সংযমের দ্বারা শক্তিকে আয়ত্ত করিতে পারিলেই তবে কর্ম করা সহজ হয়। এইরূপে কৰ্ম যখন আরম্ভ করি, তখন নানা লোকের সঙ্গে নানা সম্বন্ধে জড়াইয়া পড়িতে হয়। এই আত্মপরের সংস্রবেই যত ভালোমন্দ যত পাপপুণ্য যত আঘাত-প্রতিঘাত। শাস্তি যেমন শক্তিকে যথোচিতভাবে সংবরণ করিয়া তাহাদের বিরোধগুঞ্জন করিয়া দেয়, তেমনি সংসারে আত্মপরের শতসহস্ৰ সম্বন্ধের অপরিসীম জটিলতার মধ্যে কে সামঞ্জস্ত স্থাপন করে ? মঙ্গল। শাস্তি না থাকিলে জগৎপ্রকৃতির প্ৰলয়, মঙ্গল না থাকিলে মানবসমাজের ধ্বংস । শাস্তকে শক্তিসংকুল জগতে উপলব্ধি করিতে হইবে, শিবকে সম্বন্ধসংকুল সংসারে উপলব্ধি করিতে হুইবে । র্তাহার শাস্তস্বরূপকে জ্ঞানের দ্বারা ও তাহার শিবস্বরূপকে শুভকর্মের দ্বারা মনে ধারণা করিতে হইবে। আমাদের শাস্ত্রে বিধান আছে, প্রথমে ব্রহ্মচর্ষ, পরে গার্হস্থ্য,—প্রথমে শিক্ষার দ্বারা প্রস্তুত হওয়া, পরে কর্মের দ্বারা পরিপক্ক হওয়া। প্রথমে শাস্তং পরে শিবম্।. . তার পরে অদ্বৈতম। এইখানেই সমাপ্তি। শিক্ষাতেও সমাপ্তি নয়, কর্মেও সমাপ্তি নয়। কেনই বা শিখিব, কেনই বা খাটিব ? একটা কোথাও তো তাহার পরিণাম আছে। সেই পরিণাম অদ্বৈতম্। তাহাই নিরবচ্ছিন্ন প্রেম, তাহাই নির্বিকার আনন্দ । মঙ্গলকর্মের সাধনায় যখন কর্মের বন্ধন ক্ষয় হইয়া যায়, অহংকারের তীব্রতা নষ্ট হইয়া আসে, যখন আত্মপরের সমস্ত সম্বন্ধের বিরোধ ঘুচিয়া যায়, তখনই নম্রতাম্বারা ক্ষমার দ্বার করুণার দ্বারা প্রেমের পথ প্রস্তুত হইয়া আসে। তখন অদ্বৈতম। তখন সমস্ত সাধনার সিদ্ধি, সমস্ত কর্মের অবসান। তখন মানবজীবন তাহার প্রারম্ভ হইতে পরিণাম পৰম্ভ পরিপূর্ণ –কোথাও সে আর অসংগত অসমাপ্ত অর্থহীন নহে। হে পৰমাত্মন, মানবজীবনের সকল প্রার্থনার অভ্যস্তরে একটিমাত্র গভীরতম প্রার্থন আছে, তাহ আমরা বুদ্ধিতে জানি বা না জানি, তাহ আমরা মুখে বলি বা না বলি, আমাদের ভ্রমের মধ্যেও আমাদের দুঃখের মধ্যেও আমাদের অন্তরাত্মা হইতে সে প্রার্থনা সর্বদাই, তোমার অভিমুখে পথ খুজিয়া চলিতেছে। সে প্রার্থনা এই যে, আমাদের সমস্ত জ্ঞানের দ্বারা যেন শাস্তকে জানিতে পারি, আমাদের সমস্ত কর্মের দ্বারা যেন শিবকে দেখিতে পাই, আমাদের সমস্ত প্রেমের দ্বারা যেন অদ্বৈতকে উপলব্ধি করি । ফললাভের প্রত্যাশ সাহস কৱিয় তোমাকে জানাইতে পারি না, কিন্তু আমার আকাজ এইমাত্র ষে, সমস্ত বিন্ধ-বিক্ষেপ-বিকৃতির মধ্যেও এই প্রার্থনা যেন সমস্ত শক্তির সহিত সত্যভাবে তোমার নিকট উপস্থিত করিতে পারি। অন্ত সমস্ত বাসনাকে ব্যখ করিয়া, হে অন্তর্বামিন,