পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম 8૨૪ সংসারে কিছুই নিত্য নয়, অতএব সংসার অসার অপবিত্র এবং তাছাকে ত্যাগ করাই শ্রেয়, এইরূপ বৈরাগ্যধর্মের শ্রেষ্ঠত যুরোপে সাধুগণ মধ্যযুগে প্রচার করিতেন। তখন সন্ন্যাসিালের যথেষ্ট প্রাচুর্ভাব ছিল। যুরোপের এখনকার ভাবখান এই যে, সংসারটা কিছুই নয় বলিয়৷ মানুষের প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির মধ্যে একটা চিরস্থায়ী দেবাম্বরের ঝগড়া বাধাইয়া রাখিলে মচুন্যত্বকে খর্ব করা হয় । সংসারের হিতসাধন করাই সংসারীর জীবনের শেষ লক্ষ্য-—ইহাই ধর্মনীতি। এই ধর্মনীতিকে প্রবলভাবে আশ্রয় করিতে গেলে সংসারকে মায়া-ছায়া বলিয়া উড়াইয়া দিলে চলে না । এই সংসাৱক্ষেত্রে জীবনের শেষদও পর্যন্ত পুরাদমে কাজ করিতে পারাই বীরত্ব—লাগামজোতা অবস্থাতেই মরা অর্থাৎ কাজে বিশ্রাম না দিয়াই জীবন শেষ করা ইংরেজের কাছে গৌরবের বিষয় বলিয়া গণ্য হয় । সংসার যে অনিত্য এ-কথা ভুলিয়া, মৃত্যু ষে নিশ্চিত এ-কথা মনের মধ্যে পোষণ না করিয়া, সংসারের সঙ্গে চিরস্তন-সম্বন্ধ-স্থাপনের চেষ্টা করায় যুরোপীয়জাতি একটা বিশেষ বললাভ করিয়াছে, সে-বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই । ইহার বিপরীত অবস্থাকে ইহার morbid অর্থাং রুগণ অবস্থা বলিয়া থাকে । সুতরাং ইহাদের শিক্ষার উদেশু এই যে, ছাত্রর এমন করিয়া মাকুব হইবে, যাহাতে তাহার শেষ পর্যন্ত প্রাণপণবলে সংসারের কর্মক্ষেত্রে লড়াই করিতে পারে। জীবনকে ইহারা সংগ্রাম বলিয়া জানে ; বিজ্ঞানও ইহাদিগকে এই শিক্ষা দেয় যে, জীবিকার লড়াইয়ে যাহার জেতে, তাহারাই পৃথিবীতে টিকিয়া যায়। একদিকে “চাইই চাই, নহিলেই নয়” মনের এই গৃং ভাবকে খুব সতেজ রাধিবার জন্ত ইহাঙ্গের চেষ্টা, অপর দিকে মুঠাটাও ইহারা খুব শক্ত করিতে থাকে। আটঘটি বাধিয়া রশাৱশি কৰিয়া দশ আঙুল দিয়া ইহারা জটিয়া ধরিতে জানে। পৃথিবীকে কোনো অংশেই এবং কোনোমতেই ছাড়িব না, ইহাই সবলে বলিতে বলিতে মাটি কামড়াইয়া মরিয়া যাওয়া ইহাঙ্গের পক্ষে বীরের মৃত্যু। সব জানিব, সব কাড়িব, সব রাখিব, এই প্রতিজ্ঞার সার্থকতা সাধন করিবার শিক্ষাই ইহাদের শিক্ষা । আমরা বলিয়া আসিয়াছি, O शृशेख हेब cरूरतबू वृङ्काना शबबाळ्रज९ ।। वृङ्का यवन ठूरणब इ*ि शबिद्या चारह, ७झे बन्न रूबिच्च शमtछबन रूबिरद । যুরোপের সন্ন্যাসীরাও ষে এ-কথা বলে নাই, তাহা নহে এবং সংসারীকে ভয় দেখাইবার জন্ত মৃত্যুর বিভীষিকাকে তাহারা সাহিতে, চিত্রে এবং নানান্থানে প্রত্যক্ষ করিবার চেষ্টা করিয়াছে। কিন্তু আমাদের প্রাচীন সংহিতার মধ্যে ৰে ভাবটা দেখা যায়, তাহার একটু