পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थ*f 8లో ভারতবর্ষ জীবনকে সেইরূপ চারি আশ্রমে ভাগ করিয়াছিল। এই বিভাগ স্বভাবকে অনুসরণ করিয়াই হইয়াছিল। আলোক ও উত্তাপের ক্রমশ বৃদ্ধি এবং ক্রমশ হ্রাস যেমন দিনের আছে, তেমনি মানুষেরও ইঞ্জিয়শক্তির ক্রমশ উন্নতি এবং ক্রমশ অবনতি আছে । সেই স্বাভাবিক ক্রমকে অবলম্বন করিয়া ভারতবর্ষ জীবনের আরম্ভ হইতে জীবনাস্ত পর্যন্ত একটি অখণ্ড তাৎপর্ষকে বহন করিয়া লইয়া গেছে। প্রথমে শিক্ষা, তাহার পরে সংসার, তাহার পরে বন্ধনগুলিকে শিথিল করা, তাহার পরে মুক্তি ও মৃত্যুর মধ্যে প্রবেশ–ব্রহ্মচর্ষ, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও প্রত্ৰজ্যা । আধুনিককালে আমরা জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর একটা বিরোধ অহুভব করি। মৃত্যু ষে জীবনের পরিণাম, তাহা নহে, মৃত্যু যেন জীবনের শক্র । জীবনের পর্বে পর্বে আমরা অক্ষমভাবে মৃত্যুর সঙ্গে ঝগড়া করিয়া চলিতে থাকি। যৌবন চলিয়া • গেলেও আমরা যৌবনকে টানাটানি করিয়া রাখিতে চাই। ভোগের আগুন নিবিয়া আসিতে থাকিলেও আমরা নানাপ্রকার কাঠখড় জোগাইয়া তাহাকে জাগাইয়া রাখিতে চাই । ইজিয়শক্তিৱ হ্রাস হইয়া আসিলেও আমরা প্রাণপণে কাজ করিতে চেষ্টা করি । মুষ্টি যখন স্বভাবতই শিথিল হইয় আসে, তখনও আমরা কোনোমতেই কোনো-কিছুর দখল ছাড়িতে চাই না। প্রভাত ও মধ্যাহ্ন ছাড়া আমাদের জীবনের আর-কোনো অংশকে আমরা কিছুতেই স্বীকার করিতে ইচ্ছা করি না। অবশেষে যখন আমাদের চেয়ে প্রবলতর শক্তি কানে ধরিয়া স্বীকার করিতে বাধ্য করায়, তখন হয় বিদ্রোহ, নয় বিষাদ উপস্থিত হয়—তখন আমাদের সেই পরাভব কেবল রণে ভঙ্গরূপেই পরিণত হয়, তাহাকে কোনো কাজে লাগাইতেই পারি না। যে পরিণামগুলি নিশ্চয় পরিণাম, তাহাদিগকে সহজে গ্রহণ করিবার শিক্ষা হয় নাই বলিয়৷ কিছুই নিজে ছাড়িয়া দিই না, সমস্ত নিজের কাছ হইতে কাড়িয়া লইতে দিই । সত্যকে অস্বীকার করি বলিয়া পদেপদেই সত্যের নিকটে পরাস্ত হইতে থাকি । , কাচা আম শক্ত বেঁটা লইয়া ডালকে খুব জোরে আকর্ষণ করিয়া আছে, তাহার অপরিণত জাটির গায়ে তাহার অপরিণত শাল ভাটিয়া লাগিয়া আছে। কিন্তু প্রত্যহ সে যতটুকু পাকিতেছে, ততটুকু পরিমাণে তাহার বেঁটা চিলা হইতেছে, তাহার জাটি শাস হইতে আলগা, সমস্ত কলটা গাছ হইতে পৃথক হইয়া জালিতেছে । ফল ষে ७कमि श्रादइब्र वैशन इशेउ जन्थून वउज इहेब बाहेब, ऐशहे उांशंद्र जक्जउগাছকে চিরকাল জাটিয়া ধরিয়া থাকিলেই লে ব্যর্থ। ফলের মতো আমাদের ইঞ্জিয়শক্তিও একদিন সংসারের ভাল হইতে সমস্ত রস আকর্ষণ করিয়া লইয়া শেষকালে এই ভালকে ত্যাগ কৰি ধূলিসাৎ হয়। ইহা জগতের নিয়মেই হয়, ইহার উপরে