পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्षभ । 888) জাগরণের দেবদূতরূপে তোমার মুপ্তির মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে, ইহাকে ভক্তির সহিত অন্তঃকরণে গ্রহণ করে, ইহার স্পর্শের যোগে আপনাকে সমস্ত আকাশে ব্যাপ্ত कब्रिग्ना श७ । । আজ প্রভাতের এই মুহূর্তে পৃথিবীর অর্ধভূখণ্ডে নবজাগ্রত সংসারে কর্মের কী তরঙ্গই জাগিয়া উঠিয়াছে। এই সমস্ত প্রবল প্রয়াল এই সমস্ত বিপুল উদযোগে যত পুঞ্জপুর মুখদুঃখ-বিপংসম্পদ গ্রামে-গ্রামে নগরে-নগরে দূরে-দূরান্তরে হিরোলিত-ফেনারিত হইয়া উঠিতেছে, সমস্তই কেবল র্তাহার ইচ্ছ, তাহার আনন্দ, ইহাই জানিয়া পৃথিবীর সমস্ত লোকালয়ের কর্মকলরবের সংগীতকে একবার স্তব্ধ হইয়া অধ্যাত্মকর্ণে শ্রবণ করে— তার পরে সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়া বলো—সুখে-দুঃখে তাহারই আনন্দ, লাভে-ক্ষতিতে তাহারই আনন্দ, জন্মে-মরণে র্তাহারই আনন্দ—সেই “আনন্দং ব্রহ্মণে বিদ্বান ন বিভেতি কুতচন”—ত্রন্ধের আনন্দকে যিনি জানেন, তিনি কাহ হইতেও ভয়প্রাপ্ত হন না । ক্ষুদ্র স্বাৰ্থ ভুলিয়া, ক্ষুদ্র অহমিকা দূর করিয়া তোমার নিজের অন্তঃকরণকে একবার আননে জাগাইয়া তোলো—তবেই আনন্দরূপমমৃতং ষদ্বিভাতি, আনন্দরূপে অমৃতরূপে যিনি চতুর্দিকেই প্রকাশ পাইতেছেন, সেই আনন্দময়ের উপাসনা সম্পূর্ণ হইবে। কোনো ভয় কোনো সংশয় কোনো দীনতা মনের মধ্যে রাখিয়ে না ; আনন্দে প্রভাতে জাগ্রত হও, আনন্দে দিনের কর্ম করে, দিবাবসানে নিঃশব্দ স্নিগ্ধ অন্ধকারের মধ্যে আনন্দে আত্মসমর্পণ করিয়া দাও, কোথাও যাইতে হইবে না, কোথাও খুজিতে হইবে না, সর্বত্রই যে আনন্দরূপে তিনি বিরাজ করিতেছেন, সেই আনন্দরূপের মধ্যে তুমি আনন্দলাভ করিতে শিক্ষা করে—যাহা-কিছু তোমার সম্মুখে উপস্থিত, পূর্ণ আনন্দের সহিত তাহাকে স্বীকার করিয়া লইবার সাধনা করে।— সম্পদে সংকটে থাকো কল্যাণে धां८क उवांनाच निव्वt ब*बांटम । गदांzइ चकभt रूबेि थi८क उबांबण्णय চির-অমৃত-নিবন্ধে শাভিরসপানে । নিজের এই ক্ষুদ্র চোখের দীপ্তিটুকু যদি আমরা নষ্ট করিয়া ফেলি, তবে আকাশভয়া আলো তো আর দেখিতে পাই না ; তেমনি আমাদের ছোটো মনের ছোটো ছোটো বিষা-অবসাদ-নৈরাপ্ত নিরানন্দ আমাদিগকে অন্ধ করিয়া দয়—জানস্বরূপমদ্ভুতং আমরা আর দেখিতে পাই ন-নিজের কালিমাদ্বারা আমরা একেবারে পরিবেষ্টিত হইয়া থাকি, চারিদিকে কেবল ভাঙাচোর কেবল অসম্পূর্ণত কেবল আভাষ দেখি —কানা যেমন মধ্যাছের আলোকে কালে দেখে, আমাদেরও সেই দশা ঘটে। একবার চোখ