86షి রবীন্দ্র-রচনাবলী মত, দর্শনের তর্ক ও শাস্ত্রের বাক্য নিয়ে জারাম পাই নে ; সেদিন আমরা একমুহূর্তেই বুঝতে পারি প্রেম ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই—সেদিন আমাদের প্রার্থন এই হয় যে, “প্রেম-আলোকে প্রকাশে জগপতি হে ।” க জ্ঞানের প্রকাশে আমাদের সংশয়ের সমস্ত অন্ধকার দূর হয় না । আমরা জেনেও জানি নে কখন ? যখন আমাদের মধ্যে প্রেমের প্রকাশ হয় না । একবার ভেবে দেখো না এই পৃথিবীতে কত শত সহস্ৰ লোক আমাকে বেষ্টন করে আছে। তাদের ৰে জানি নে তা নয়, কিন্তু তারা আমার পক্ষে কিছুই নয়। সংসারে আমি এমন ভাবে চলি যেন এই অগণ্য লোক তাদের মুখদুঃখ নিয়ে নেই। তবে কারা আছে ? স্বারা আমার আত্মীয়স্বজন, আমার প্রিয়ব্যক্তি, তারাই অগণ্য জীবকে ছাড়িয়ে আছে। এই কয়েকটি লোকই আমার সংসার। কেননা এদেরই আমি প্রেমের আলোতে দেখেছি। এদেরই আমি কমবেশি পরিমাণে আমার আত্মারই সমান করে দেখেছি। আমার আত্মা ষে . সত্য, আত্মপ্রেমে সেটা আমার কাছে একান্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—সেই প্রেম যাদের মধ্যে প্রসারিত হতে পেরেছে তাদেরই আমি আত্মীয় বলে জানি—তাই তাদের সম্বন্ধে আমার । কোনো সংশয় নেই, তারা আমার পক্ষে অনেকটা আমারই মতো সত্য । ঈশ্বর যে আছেন এবং সর্বত্রই আছেন এ-কথাটা ষে আমার জানার অভাব আছে তা নয় কিন্তু আমি অহরহ সম্পূর্ণ এমন ভাবেই চলি যেন তিনি কোনোখানেই নেই। এর কারণ কী ? তার প্রতি আমার প্রেম জন্মে নি, সুতরাং তিনি থাকলেই বা কী, না থাকলেই বা কী ? তার চেয়ে আমার নিজের ঘরের অতি তুচ্ছ বস্তুও জামার কাছে বেশি করে আছে । প্রেম নেই বলেই তার দিকে আমাদের সমস্ত-চোখ চায় না, আমাদের সমস্ত কান যায় না, আমাদের সমস্ত মন খোলে না। এইজন্তেই যিনি সকলের চেয়ে আছেন তাকেই সকলের চেয়ে পাই নে—তাই এমন একটা অভাব জীবনে থেকে যায় যা আর কিছুতেই কোনোমতেই পোরাতে পারে না । ঈশ্বর থেকেও থাকেন না—এতবড়ো প্রকাও না-থাকা আমাদের পক্ষে আর কী আছে। এই না-থাকার ভারে আমরা প্রতিমুহূর্তেই মরছি। এই না-থাকার মানে আর কিছুই না, আমাদের প্রেমের অভাব। এই না-থাকারই শুষ্কতায় জগতের সমস্ত লাবণ্য মারা গেল, জীবনের সমস্ত সৌন্দৰ নষ্ট হল। যিনি আছেন তিনি নেই এতবড়ে ক্ষতি কী দিয়ে পূরণ হবে ! কিছুতেই কিছু হচ্ছে না । দিনে রাত্রে এইজন্তেই ষে গেলুম। সব জানি সব বুঝি, কিন্তু সমস্তই ব্যর্থ— · ... ." 轎 প্রেম-আলোকে প্রকাশে জগপতি হে।
- వరి ఇatist రిత
