পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هيواDۍ রবীন্দ্র-রচনাবলী তারা জানে, যেই ফুরাবে আমার পালা, আমি পাব রানীর বিজয়মালা । আমাদের সেই তরুণ সাথি বসে থাকে ধুলায় আসনতলে ; কথাটি না ব’লে । দৈবে যদি একটি-অধিটি চাপার কলি পড়ে স্থালি রানীর আঁচল হতে মাটির পরে, সবার অগোচরে সেইটি যত্বে নিয়ে তুলে পরে কর্ণমূলে । সভাভঙ্গ হবার বেলায় দিনের শেষে যদি তারে বলি হেসে— “প্রদীপ জালার সময় হল সাঝে এখনো কি রইবে সভামাঝে ।” সে হেসে কয়, “সব সময়েই আমার পালা, আমি যে ভাই চাই নে বিজয়মালা ।” আষাঢ় শ্রাবণ অবশেষে গেল ভেসে ছিন্নমেঘের পালে,— গুরু গুরু মৃদঙ্গ তার বাজিয়ে দিয়ে আমার গানের তালে । শরং এল, শরৎ গেল চলে ; নীল আকাশের কোলে রৌদ্রজলের কান্নাহাসি হল সারা ; আমার সুরের থরে থরে ছড়িয়ে গেল শিউলিফুলের ঝারা । ফাগুন-চৈত্র আম-মউলের সৌরভে আতুর, দখিন হাওয়ায় আঁচল ভরে নিয়ে গেল আমার গানের সুর । কণ্ঠে আমার একে একে সকল ঋতুর গান হল অবসান ।