পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন 8ఱళ, প্রেম বেদমন্ত্রে আছে মৃত্যুও তার ছায়া, অমৃতও তার ছায়া—উভয়কেই তিনি নিজের মধ্যে এক করে রেখেছেন। র্যার মধ্যে সমস্ত স্বন্ধের অবসান হয়ে আছে তিনিই হচ্ছেন চরম সত্য। তিনিই বিশুদ্ধতম জ্যোতি, তিনিই নির্মলতম অন্ধকার । i সংসারের সমস্ত বিপরীতের সমন্বয় যদি কোনো একটি সত্যের মধ্যে না ঘটে তবে তাকে চরম সত্য বলে মানা যায় না। তবে তার মধ্যে যেটুকু কুলোল না তার জন্তে আর একটা সত্যকে মানতে হয়, এবং সে দুটিকে পরম্পরের বিরুদ্ধ বলেই ধরে নিতে হয়। তাহলেই অমৃতের জন্তে ঈশ্বরকে এবং মৃত্যুর জন্তে শয়তানকে • মানতে হয় । কিন্তু আমরা ব্রহ্মের কোনো শরিককে মানি নে—আমরা জানি তিনিই সত্য, খণ্ড সত্যের সমস্ত বিরোধ তার মধ্যে সামঞ্জস্ত লাভ করেছে ; আমরা জানি তিনিই এক ; খও সত্তার সমস্ত বিচ্ছিন্নত। তার মধ্যে সম্মিলিত হয়ে আছে। কিন্তু এ তো হল তত্ত্ব কথা । তিনি সত্য একথা জানলে কেবল জ্ঞানে জানা হয় – এর সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের যোগ কোথায় । এই সত্যের কি কোনো রসই নেই। তা বললে চলবে কী করে । সমস্ত সত্য যেমন তাতে মিলেছে তেমনি সমস্ত রসও র্তাতে মিলে গেছে। সেইজন্তে উপনিষৎ তাকে শুধু সত্য বলেন নি, তাকে রসস্বরূপ বলেছেন—তাকে সেই পরিপূর্ণ রসরূপে জানলে জানার সার্থকতা হয়। তাহলে দাড়ায় এই যিনি চরম সত্য তিনিই পরম রস। অর্থাৎ তিনি প্রেমস্বরূপ । নইলে তার মধ্যে কিছুরই সমাধান হতে পারতই না - ভেদ ভেদই থাকত, বিরোধ কেবলই আঘাত করত এবং মৃত্যু কেবলই হরণ করে নিত। তার মধ্যে ষে সমস্তই মেলে—সেটা একটা জ্ঞানতত্ত্বের মিলন নয়—তার মধ্যে একটি প্রেমতত্ত্ব আছে— সেইজন্ত সমস্তকে মিলতেই হয়—সেইজন্যই বিচ্ছেদ বিরোধ কখনোই চিরন্তন সত্য বস্ত হয়ে উঠতে পারে না । ইচ্ছার শেষ চরিতার্থতা প্রেমে । প্রেমে—কেন, কী হবে, এ সমস্ত প্রশ্ন থাকতেই পারে না—প্রেম আপনিই আপনার জবাবদিহি, আপনিই আপনার লক্ষ্য। যদি বল ত্যাগের দ্বারা ত্যক্তবদ্ধ থেকে মুক্তিলাভ করবে তাতে আমাদের মন সায় দেয় না, ধনি বল ত্যাগের দ্বারা ত্যক্তবস্তুকে পূর্ণতররূপে লাভ করবে তাহলেও আমাদের মনের সম্পূর্ণরূপে সাড়া পাওয়া যায় না। যদি মূল ত্যাগের আর প্রেমকে পাওয়া যাবে, و به سیستان و