পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী مولمو8N ভগবান প্রেমস্বরূপ কিনা তাই তিনি এককে নিয়ে দুই করেছেন আবার দুইকে নিয়ে এক করেছেন। স্পষ্টই ষে দেখতে পাচ্ছি দুই যেমন সত্য, একও তেমনি সত্য । এই অদ্ভূত ব্যাপারটাকেও তো যুক্তির দ্বারা নাগাল পাওয়া যাবে না C C적 প্রেমের কাও ৷ 尊 উপনিষদে ঈশ্বরের সম্বন্ধে এইজন্তে কেবলই বিরুদ্ধ কথাই দেখতে পাই । য একোহবর্ণো বহুধাশক্তিযোগাং বর্ণাননেকান্নিহিতার্থোদধাতি । তিনি এক, এবং তার কোনো বর্ণ নেই অথচ বহুশক্তি নিয়ে সেই জাতিহীন এক, অনেক জাতির গভীর প্রয়োজনসকল বিধান করছেন । যিনি এক তিনি আবার কোথা থেকে অনেকের প্রয়োজন সকল বিধান করতে যান। তিনি যে প্রেমস্বরূপ—তাই, শুধু এক হয়ে তার চলে না, অনেকের বিধান নিয়েই তিনি থাকেন। স পর্যগাং শুক্রং আবার তিনিই ব্যদধাংশাশ্বতীভ্য: সমাভ্যঃ—অর্থাৎ অনন্তদেশে তিনি স্তন্ধ হয়ে ব্যাপ্ত হয়ে আছেন, আবার অনন্তকালে তিনি বিধান করছেন, তিনি কাজ করছেন। একাধারে স্থিতিও তিনি গতিও তিনি । আমাদের প্রকৃতির মধ্যেও এই স্থিতি ও গতির সামঞ্জস্ত আমরা একটিমাত্র জায়গায় দেখতে পাই ; সে হচ্ছে প্রেমে । এই চঞ্চল সংসারের মধ্যে যেখানে আমাদের প্রেম কেবলমাত্র সেইখানেই আমাদের চিত্তের স্থিতি—আর সমস্তকে আমরা ছুই আর চলে যাই, ধরি আর ছেড়ে দিই, যেখানে প্রেম সেইখানেই আমাদের মন স্থির হয় । অথচ সেইখানেই তার ক্রিয়াও বেশি । সেইখানেই আমাদের মন সকলের চেয়ে সচল । প্রেমেতেই ষেধানে স্থির করায় সেইখানেই অস্থির করে। প্রেমের মধ্যেই স্থিতিগতি এক নাম নিয়ে আছে। কর্মক্ষেত্রে ত্যাগ এবং লাভ ভিন্ন শ্রেণীভুক্ত—তারা বিপরীতপর্যায়ের । প্রেমেতে ত্যাগও যা লাভও তাই। যাকে ভালোবাসি তাকে যা দিই সেই দেওয়াটাই লাভ । আনন্দের হিসাবের খাতায় জমা খরচ একই জায়গায়—সেখানে দেওয়াও ষা পাওয়াও তাই । ভগবানও স্বষ্টিতে এই যে আনন্দের যজ্ঞ এই যে প্রেমের খেলা ফেদেছেন এতে তিনি নিজেকে দিয়ে নিজেকেই লাভ করছেন। এই দেওয়াপাওয়াকে একেবারে এক করে দেওয়াকেই বলে প্ৰেম । н * দর্শনশাস্ত্রে মস্ত একটা তর্ক আছে, ঈশ্বর পুরুষ কি অপুরুষ তিনি লগুণ কি নিগুৰ্ণ, fsfā personal f impersonal ? cztwa Mtwy się ki al sopstw first আছে । প্রেমের একটা কোটি সগুণ, আর একটা কোটি নিগুৰ্ণ । তার একদিক বলে আমি আছি আর একদিক বলে আমি নেই । “আমি” না হলেও প্রেম নেই,