পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন . 8% শোনা কাল সন্ধ্যা থেকে এই গানটি কেবলই আমার মনের মধ্যে ঝংকৃত হচ্ছে—“বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে ।” আমি কোনোমতেই ভুলতে পারছি নে— বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে । অমল কমল মাঝে, জ্যোংক্স রজনী মাঝে, কাজল ঘন মাঝে, নিশি আঁধার মাঝে, কুসুম সুরভি মাঝে বীণ-রণন শুনি যে প্রেমে প্রেমে বাজে । কাল রাত্রে ছাদে দাড়িয়ে নক্ষত্ৰলোকের দিকে চেয়ে আমার মন সম্পূর্ণ স্বীকার , করেছে “বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে ।” এ কবিকথা নয় এ বাক্যালংকার নয়— আকাশ এবং কালকে পরিপূর্ণ করে অহোরাত্র সংগীত বেজে উঠছে। বাতাসে যখন ঢেউয়ের সঙ্গে ঢেউ মুন্দর করে খেলিয়ে ওঠে তখন তাদের সেই আশ্চর্ষ মিলন এবং সৌন্দর্ধকে আমাদের চোখ দেখতে পায় না, আমাদের কানের মধ্যে সেই লীলা গান হয়ে প্রকাশ পায় । আবার আকাশের মধ্যে যখন আলোর ঢেউ ধারায় ধারায় বিচিত্র তালে নৃত্য করতে থাকে তখন সেই অপরূপ লীলার কোনো খবর আমাদের কান পায় না, চোখের মধ্যে সেইটে রূপ হয়ে দেখা দেয়। যদি এই মহাকাশের লীলাকেও আমরা কানের সিংহদ্বার দিয়ে অভ্যর্থনা করতে পারতুম তাহলে বিশ্ববীণার এই ঝংকারকে আমরা গান বলেও চিনতে পারতুম। এই প্রকাগু বিপুল বিশ্ব-গানের বন্যা যখন সমস্ত আকাশ ছাপিয়ে আমাদের চিত্তের অভিমুখে ছুটে আসে তখন তাকে এক পথ দিয়ে গ্রহণ করতেই পারি নে, নানা দ্বার খুলে দিতে হয় চোখ দিয়ে, কান দিয়ে, স্পশেন্দ্রিয় দিয়ে, নানা দিক দিয়ে তাকে নানারকম করে নিই। এই একতান মহাসংগীতকে আমরা দেখি, শুনি, ছুই, শুকি, আস্বাদন করি। এই বিশ্বের অনেকখানিকেই যদিও আমরা চোখে দেখি, কানে শুনি নে, তবুও বহুকাল থেকে অনেক কবি এই বিশ্বকে গানই বলেছেন। গ্রীসের ভাবুকের আকাশে জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতায়াতকে নক্ষত্ৰলোকের গান বলেই বর্ণনা করেছেন। কবিরা বিশ্বজুবনের রূপবিস্তাসের সঙ্গে চিত্রকলার উপমা অতি অল্পই দিয়েছেন তার একটা कांब4, विटचब भाषा निब्रउ ७कछे अलिंद्र চাঞ্চল্য আছে কিন্তু শুধু তাই নয়—এর মধ্যে गंखैौबउइ ७कछे कांइनं जां८छ् ।