পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুলি মান তার পক্ষে সহজ হয় তখন সমাজের মধ্যে বাস করা তার পক্ষে আনন্দের হয়ে ওঠে —তখনই তার সামাজিক শক্তি সেই সকল বিচিত্র নিয়মবদ্ধনের সাহায্যেই বাধাযুক্ত হয়ে মূর্তিলাভ করে। । - এমনি করে অধিকাংশ মানুষই যখন বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে এবং সমাজের মধ্যে মোটামুটি রকমে চলনসই হয়ে ওঠে তখনই তার নিশ্চিন্ত হয়, এবং নিজেকে অনিন্দনীয় মনে করে খুশি হয়। কিন্তু এমন টাকা আছে যা গায়ে চলে কিন্তু শহরে চলে না শহরের বাজে দোকানে চলে যায় কিন্তু ব্যাঙ্কে চলে না । ব্যাঙ্কে তাকে ভাঙাতে গেলেই সেখানে যে পোক্ষারটি আছে সে একেবারে স্পর্শমাত্রেই তাকে তৎক্ষণাং মেকি বলে বাতিল করে দেয় । আমাদেরও সেই দশা—আমরা ঘরের মধ্যে গায়ের মধ্যে সমাজের মধ্যে নিজেকে চলনসই করে রেখেছি কিন্তু বড়ো ব্যাঙ্কে যখন দাড়াই তখনই পোদারের কাছে একমুহূর্তে আমাদের সমস্ত খাদ ধরা পড়ে যায় । সেখানে যদি চলতি হতে চাই তবে সত্য হতে হবে, আরও সত্য হতে হবে। আরও অনেক বাধনে নিজেকে বধিতে হবে, আরও অনেক দায় মানতে হবে। সেই অমৃতের বাজারে এতটুকু মেকিও চলে না—একেবারে খাটি সত্য না হলে অমৃত কেনবার আশা করাও যায় না। তাই বলছিলুম কেবল অমৃতরসের কথা তো বললেই হবে না, তার হিসাবটাও দেখতে হবে । আমরা নিজের হিসাব যখন মেলাতে বসি তখন দু-চার টাকার গরমিল হলেও বলি ওতে কিছু আসে যায় না। এমনি করে রোজই গরমিলের অংশ কেবলই জমে উঠছে । প্রকৃতির সঙ্গে এবং মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে প্রত্যহই ছোটােবড়ে কত জগত্য কত অন্যায়ই চালিয়ে দিচ্ছি সে-সম্বন্ধে যদি কথা ওঠে তো বলে বসি আমন তো আকৃপার হয়েই থাকে, আমন তো কত লোকেই করে—ওতে ক’রে এমন ঘটেcনা ষে আমি ভক্রসমাজের বার হয়ে যাই । ঘ’রে হিসাবের খাতায় এইরকম শৈখিল্য বটে কিন্তু যার জাতিতে সাধু, যারা মহাজন, তার লাখটাকার কারবারে এক পয়সার হিসাবট না মিললে সমস্ত রাত্রি ঘুমোতে পারে না । ষার মস্ত লাভের দিকে তাকিয়ে আছে তার ছোট্রো গরমিলকেও ভরায়—তারা হিসাবকে একেবাৰে নিখুত সত্য না করে বঁাচে না। তাই বলছিলুম সেই ষে পরম রস প্রেমাণ—তার মহাজন ঘদি হতে চাই তবে 3vని-ఆవ o