পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रवीहिनिएकडञ ههه পরিহার করে বছর মধ্যে বিচিত্রের মধ্যে আপনার নানা শক্তিকে নান। সম্বন্ধে বিষ্কৃত করে দিয়ে নিজেকে বৃহৎক্ষেত্রে উপলব্ধি করবে—এই তার যথার্থ মুখ । এইজপ্তেই বলা হয়েছে "মৈব সুখং নাল্পে সুখমতি”–ভূমাই সুখ অল্পে সুখ নেই। তার কারণ, पञ८झ यांच्प्लां७ पञझ इब्र ! o যে সমাজ সভ্য সেই সমাজ বহুকে বিচিত্রভাবে আত্মার সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত করে বলেই সে সমাজের গৌরব । নইলে কেবল উপকরণবাহুল্য এবং সুবিধার সমাবেশ তার সার্থকতা নয় । সভ্যসমাজে ষেধানে জ্ঞান প্রেম ও কর্মচেষ্টা নিয়ত দূরপ্রসারিত ক্ষেত্রে সর্বদাই সচেষ্ট হয়ে আছে সেইখানে যে-মানুষ বাস করে সে ক্ষুদ্র হয়ে থাকে না । সে ব্যক্তির শক্তি অল্প হলেও সে শক্তি সহজেই নিজেকে সার্থক করবার অবকাশ পায়। এইজন্তেই সকলের যোগে ভূমার যোগে সভ্যসমাজবাসী প্রত্যেকেই যথাসম্ভব বলিষ্ঠ হয়ে ওঠে। যে সমাজ সভ্য নয় সে সমাজে স্বভাববলিষ্ঠ লোকও দুর্বল হয়ে থাকে, কারণ সে সমাজের লোকেরা আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে পায় না । সে সমাজে যে-সকল প্রতিষ্ঠান আছে সে কেবল ঘরের উপযোগী গ্রামের উপযোগী, ভূমার সঙ্গে যে-সকল সংকীর্ণ প্রতিষ্ঠানের যোগ নেই—সেখানে চিত্তসমূত্রের জোয়ার এসে পৌঁছোয় না ; এইজন্তে সেখানে মানুষ নিজের সত্য নিজের গৌরব অনুভব করে শক্তিলাভ করতে পারে না, সে সর্বত্র পরাভূত হয়ে থাকে। তার দারিদ্র্যের অন্ত থাকে না । এইজন্তেই আমাদের সভ্যতার সাধনা করতে হবে, রেলওয়ে টেলিগ্রাফের জন্তে নয়। কারণ, রেলওয়ে টেলিগ্রাকেরও শেষ গম্যস্থান হচ্ছে মাতুষ—কোনো স্থানীয় ইস্টেশন বিশেষ নয় । এই সভ্যতা-সাধনার গোড়াকার কথাই হচ্ছে ধর্মবুদ্ধি। যতই আপনার প্রসার অল্প হয় ততই ধর্মবুদ্ধি অল্প হলেও চলে। নিজের ঘরে সংকীর্ণ জায়গায় যখন কাজ করি তখন ধর্মবুদ্ধি সংকীর্ণ হলেও বিশেষ ক্ষতি হয় না । কিন্তু যেখানে বহুলোককে বহুবন্ধনে বাধতে হয় সেখানে ধর্মবুদ্ধি প্রবল হওয়া চাই । সেখানে ধৈর্যবীর্ষ অধ্যবসায় ত্যাগ সেবাপরতা লোকহিতৈষী সমস্তই খুব বড়ে রকমের না হলে নয় । বস্তু কোনো মতেই বৃহৎ হয়ে উঠতে পারে না যদি তাকে ধরে রাখবার উপযোগী ধর্মও বৃহৎ না হয়—ধৰ্ম যখনই দুর্বল হয় তখনই বৃহৎ সমাজ বিশিষ্ট হয়ে ভেঙে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে কখনোই কেউ তাকে বাধতে পারে না । ,