পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন to রাত্রি গতকল্য রাজি এবং দিন, নিজ এবং জাগরণের একটি কথা বলা হয় নি। সেটাই হচ্ছে প্রধান কথা । যখন আমরা জাগ্রত থাকি তখন আষাদের শক্তির সঙ্গে শক্তির লীলা ঘটে । বিশ্বকর্মীর বিশ্বকর্মের সঙ্গে আমাদের কর্মের যোগসাধন হয় । যিনি “বহুধাশক্তিযোগাৎ বর্ণানলেকান্নিহিতার্থে দ্বধাতি”–র্তারই সেই বহুবিভক্ত শক্তির বিচিত্র প্রবাহ-পথে আমাদের চেষ্টাকে চালন করে আমরা শক্তির আশ্চর্ষ গতিসকল আবিষ্কার করে আনন্দিত হই। এক সময়ে যেখানে মনে করেছিলুম শক্তির শেষ, চলতে গিয়ে দেখতে পাই সেখান থেকে পথ জাবার একটা নূতন বাক নিয়েছে - এমনি করে জগদ্ব্যাপারের সেই বহুধাশক্তির মধ্যে নিজের শক্তিকেও বহুধা করে দিয়ে তার সঙ্গে সকল দিকে সমান গতিলাভ করবার জন্যে আমাদের চিত্ত উৎসাহিত হয়ে ওঠে । এমনি করে আমাদের জাগ্ৰত চৈতন্ত সমস্ত ইন্দ্রিয়শক্তি ও মানসশক্তির জালকে চতুর্দিকে নিক্ষেপ করে নানা বেগ, নানা স্পর্শ, নানা লাভের দ্বারা নিজেকে সার্থক করে । কিন্তু কেবলই জাল ৰাইচ করে তো জেলের চলে না। জালে এৰি পড়ে, জাল ছিড়ে আসে, জাল মলিন হয় । তখন আবার সেগুলো সংশোধন করে নেবার জঙ্গে জালবাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হয় । রাত্রে নিজার সময় আমরা প্রাণের জাল-বাওর, চেতনার জাল-বাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিই। তখন সংশোধন ও ক্ষতি-পূৱণের সময় । তখন আমাদের ছিন্নভিন্ন গ্রন্ধিল মলিন জালটিকে তার হাতে সমর্পণ করে দিতে হয় “য এষ স্বপ্তেষু জাগতি কামং কামং পুরুষে নির্মিমাণঃ” ষে পুরুষ, সকলে যখন মুগু তখন জাগ্রত থেকে, প্রয়োজনসকলকে बिर्थींथं कब्रह्छ्त्र । 跟 • অতএব একবার করে নিজের সমস্ত চেষ্টাকে সংবরণ করে সম্পূর্ণভাবে সেই বিশ্বপ্রাণের হাতে আমাদের প্রাণকে সমর্পণ করে দিতে হয়—সেই সময়ে আমরা গাছপালার সমান হয়ে ঘাই, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের কোলে বিচ্ছেদ থাকে না, আমাদের অহংকারের একেবারে নিবৃত্তি হয়, তখনই আমরা নিখিলের অন্তর্বর্তী ষে গভীর আরাম তাকেই লাভ করি। জেগে উঠ বুঝতে পারি যে, বিশ্রামকে আমরা এতক্ষণ কেবলমাত্র পৃষ্ঠতারূপে পাই নি, তা একটা পূর্ণ বস্তু, আমাদের নিশ্চেষ্টতা নিশ্চৈতন্তের মধ্যেও সে একটা