পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী وت ج 3) প্রেমের অধিকার কাল রাত্রে এই গানটা আমার মনের মধ্যে বাজছিল— “নাথ হে, প্রেমপথে সব বাধা ভাঙিয়া দাও । মাঝে কিছু রেখে না, থেকে না দূরে । নির্জনে সজনে অস্তরে বাহিরে নিত্য তোমারে হেরিব, সব বাধা ভাঙিয়া দাও।” কিন্তু এ কেমন প্রার্থনা । এ લીમ কার সঙ্গে । মানুষ কেমন করে একথা কল্পনাতে এনেছে এবং মুখে উচ্চারণ করেছে যে বিশ্বভুবনেশ্বরের সঙ্গে তার প্রেম হবে । বিশ্বভুবন বলতে কতখানি বোঝায় এবং তার তুলনায় একজন মানুষ যে কত ক্ষুদ্র সে কথা মনে করলে যে মুখ দিয়ে কথা সরে না । সমস্ত মাহুষের মধ্যে আমি ক্ষুত্র, আমার মুখ-দুঃখ কতই অকিঞ্চিংকর। সৌরজগতের মধ্যে সেই মানুষ এক মুষ্টি বালুকার মতো যৎসামান্ত–এবং সমস্ত নক্ষত্ৰলোকের মধ্যে এই সৌরজগতের স্থান এত ছোটো ৰে অঙ্কের দ্বারা তার গণনা করা দুঃসাধ্য। সেই সমস্ত অগণ্য অপরিচিত লোকলোকাস্তরের অধিবাসী এই মুহূর্তেই সেই বিশ্বেশ্বরের মহারাজ্যে তাদের অভাবনীয় জীবনযাত্রা বহন করছে। এমন সকল জ্যোতিষ্কলোক অনন্ত আকাশের গভীরতার মধ্যে নিমগ্ন হয়ে রয়েছে যার আলোক যুগযুগান্তর হতে অবিশ্রাম যাত্রা করে আজও আমাদের দূরবীক্ষণ ক্ষেত্রে এসে প্রবেশ করে নি। সেই সমস্ত অজ্ঞাত অদৃশু লোকও সেই পরমপুরুষের পরমশক্তির উপরে প্রতিমুহূর্তেই একান্ত নির্ভর করে রয়েছে, আমরা তার কিছুই জানি নে । এমন যে অচিন্তনীয় ব্ৰহ্মাণ্ডের পরমেশ্বর—র্তারই সঙ্গে এই কণার কণা, অণুর অণু, বলে কিনা প্রেম করবে ! অর্থাৎ, তার রাজসিংহাসনে তার পাশে গিয়ে বসবে ! অনন্ত আকাশে নক্ষত্রে নক্ষত্রে তার জগংষজ্ঞের হোমহুতাশন যুগযুগান্তর জলছে আমি লই ষজ্ঞক্ষেত্রের অসীম জনতার একটি প্রান্তে দাড়িয়ে কোন দাবির জোরে দ্বারীকে বলছি এই যজ্ঞেশ্বরের এক শয্যায় আমাকে আসন দিতে হবে । । বড়ো হয়ে ওঠবার জন্তে মানুষের আকাঙ্কার সীমা নেই একথা জানা কথা। শুনেছি না কি আলেকজাণ্ডার এমনি ভাবে কথা বলেছিলেন যে একটা পৃথিবী জয় করে তার श्थ श्रव्ह बा, चांब ७कछे शृषिबैौ बनि षांकठ ठरब डिनि जब्रषाजांग्र cबाबांप्ङन ।