পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bbo _ 爵 রবীন্দ্র-রচনাবলী অনেক রকমের ট্যাক্স আছে সমস্তই আমাকে কড়ায় গগুীয় চুকিয়ে দিতে হয়—যেখানে কিছু দেন পড়ে সেইখানেই প্রাণ বেরিয়ে যায়। কিন্তু আমার এই আমিটুকু একেবারে লাখেরাজ, ওইখানেই বন্ধুর মন্দির কিনা, আমার সঙ্গে তার কথা এই যে, তুমি ইচ্ছা করে আমাকে যা দেবে তাই নেব “ যদি না দাও তবু আমার যা দেবার তার থেকে বঞ্চিত করব না । এমন যদি না হত তবে তার জগৎরাজ্যের একলা রাজা হয়ে তার আনন্দ কী হত । কোথাও র্যার কোনো সমান নেই তিনি কী ভয়ংকর একলা, কী অনন্ত একল । তিনি ইচ্ছা করে কেবল প্রেমের জোরে এই একাধিপত্য এক জায়গায় পরিত্যাগ করেছেন। তিনি আমার এই আমিটুকুর কুঞ্জবনে বিশেষ করে নেমে এসেছেন—বন্ধু হয়ে আপনি ধরা দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, “আমার চন্দ্র স্বর্ষের সঙ্গে তোমার নিজের দামের হিসাব করতে হবে না। কেননা ওজন দরে তোমার দাম নয়। তোমার দাম আমার আনন্দের মধ্যে—তোমার সঙ্গেই আমার বিশেষ প্রেম বলেই তুমি তুমি হয়েছ।” এইখানেই আমার এত গৌরব যে তাকে সুদ্ধ আমি অস্বীকার করতে পারি। বলতে পারি আমি তোমাকে চাই নে। সে কথা তার ধূলি জলকে বলতে গেলে তারা সহ করে না, তারা তখনই আমাকে মারতে আসে । কিন্তু তাকে যখন বলি, তোমাকে আমি চাই নে, আমি টাকা চাই, খ্যাতি চাই—তিনি বলেন আচ্ছা বেশ । বলে চুপ করে সরে বসে থাকেন । এ দিকে কখন এক সময়ে হশ হয় যে আমার আত্মার ষে নিভৃত নিকেতন, সেখানকার চাবি তো আমার খাতাঞ্জির হাতে নেই–টাকা কড়ি ধন দৌলত তো সেখানে কোনোমতে পৌছোয় না । ফাক থেকেই যায়। সেখানকার সেই একলাঘরটি জগতের আর একটি মহান একলা ছাড়া কেউ কোনোমতেই ভরাতে পারে না । ষে দিন বলতে পারব আমার টাকায় কাজ নেই, খ্যাতিতে কাজ নেই, কিছুতে কাজ নেই, তুমি এস ; ষে দিন বলতে পারব চন্দ্ৰস্থৰ্বহীন আমার এই একলা ঘরটিতে তুমি আমার আর আমি তোমার, সেই দিন আমার বরশয্যায় বর এসে বসবেন – সেই দিন আমার আমি সার্থক হবে । ' ' ) সে দিন একটি আশ্চর্য ব্যাপার এই ঘটবে যে, নিজেকে যতই দীন বলে জানৰ তার প্রেমকে ততই বড়ো করে বুঝব। তার প্রেমের ঐশ্বর্ষের উপলব্ধিতে র্তার প্রেমকেই অনন্ত বলে জানব নিজেকে বড়ো করে দাড়াব না । জ্ঞান পেলে নিজেকে জ্ঞানী বলে গর্ব হয় কিন্তু প্রেম পেলে নিজেকে অধম বলে জেনেও আনন্ম হয়। পাঞ্জ যতই গভীয়রূপে পূক্ত হয় ক্ষুধারলে ভরে উঠলে ততই সে বেশি করে পূর্ণ হয়। এইজন্তে প্রেম যখন লাভ