পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ-পরিচর ●こ● অন্ধভাণ্ডারে বদ্ধ হয়ে আতিথ্যহীন সন্দেহের বিববাম্পে শ্বাসরুদ্ধপ্রায় অবস্থায় কাটিয়েছিলুম। তখন আমি এই ঘন দেয়ালের বাইরের রাস্ত থেকে চিরপথিকের পায়ের শব্দ শুনতে পেতুম । সেই শব্দের ছন্দই যে আমার রক্তের মধ্যে বাজে, আমার ধ্যানের মধ্যে ধ্বনিত হয়। আমি সেদিন স্পষ্ট বুঝেছিলুম, আমি ওই পথিকের সহচর । আমেরিকার বস্তু গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসেই শিশু ভোলানাথ লিপতে বসেছিলুম। বন্দী যেমন ফাক পেলেই ছুটে আসে সমুদ্রের ধারে হাওয়া খেতে তেমনি করে। দেয়ালের মধ্যে কিছুকাল সম্পূর্ণ আটকা পড়লে তবেই মানুষ স্পষ্ট করে আবিষ্কার করে, তার চিত্তের জন্তে এতবড়ো আকাশেরই ফাকাটা দরকার। প্রবীণের কেল্লার মধ্যে আটকা পড়ে সেদিন আমি তেমনি করেই আবিষ্কার করেছিলুম, অন্তরের মধ্যে ষে-শিশু আছে তারই পেলার ক্ষেত্র লোকেলোকাস্তরে বিস্তৃত। এইজন্তে কল্পনায় সেই শিশুলীলার মধ্যে ডুব দিলুম, সেই শিশুলীলার তরঙ্গে সাতার কাটলুম, মনটাকে স্নিগ্ধ করবার জন্তে, নির্মল করবার জন্তে, মুক্ত করবার জন্যে ।-- ৭ অক্টোবর ১৯২৪ “সময়হারা” কবিতাটি ১৩৩০ বৈশাখের সন্দেশ পত্রিকা হইতে শিশু ভোলানাথ গ্রন্থে রচনাবলী-সংস্করণে নূতন সংকলিত হইল । গুরু ১৩২৪ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । এই নাটকটি অচলায়তনের “কিঞ্চিৎ রূপান্তরিত এবং লঘুতর” আকার । এই রূপান্তরে রবীন্দ্রনাথ অচলায়তনের অনেক অংশ বর্জন করেন এবং কয়েকটি নূতন অংশ যোগ করেন। বর্তমান সংস্করণের পাঠ প্রস্তুত করিতে গুরুর পাণ্ডুলিপি ক্রমুহৃংকুমার মুখোপাধ্যায়ের সৌজন্তে ব্যবহার করিবার সুযোগ পাইয়াছি। গুরু প্রসঙ্গে অচলায়তনের গ্রন্থপরিচয় ( রবীন্দ্র-রচনাবলী, একাদশ খণ্ড ) দ্রষ্টব্য । অর্প রতন অরূপ রতন ১৩২৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । “এই নাট্য-রূপকটি রাজা নাটকের অভিনয়যোগ্য সংক্ষিপ্ত সংস্করণ নূতন করিয়া পুনর্লিখিত।” অভিনয় উপলক্ষ্যে قانون اساسیس رفت و