পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী দেখাশোন। ঘুচল যখন এলেম যখন দূরে, তখন প্রথম শুনতে পেলেম কোন প্রভাতী মুরে প্রাণের বীণ বেজেছিল কাহার হাতে । নিবিড় বেদনাতে মুখখানি তার উঠল ফুটে আঁধার পটে সন্ধ্যাতারার মতে একই সঙ্গে জানিয়ে দিলে সে যে আমার কত, সে যে আমার কতখানিই নয় ! প্রেমের শিখা জলল তখন, নিবল যখন চোখের পরিচয় । কত বছর গেল চলে আবার গ্রামে গিয়েছিলেম পরীক্ষা পাস হলে । গিয়ে দেখি, ওদের বাড়ি কিনেছে কোন পাটের কুঠিয়াল, হল অনেক কাল । বিয়ে করে মকুর স্বামী কোন দেশে যে নিয়ে গেছে, ঠিকানা তার খুজে না পাই আমি । সেই মহ আজ এতকালের অজ্ঞাতবাস ঢ়টে কোন কথাটি পাঠাল তার পত্রপুটে । কোন বেদন দিল তারে নিষ্ঠর সংসার-- মৃত্যু সে কি ক্ষতি সে কি । সে কি অত্যাচার । কেবল কি তার বাল্যসখ৷র কাছে হৃদয়ব্যথার সাস্বনা তার আছে । ছিন্ন চিঠির বাকি লিশ্বমাঝে কোথায় আছে খুজে পাব না কি । “মহরে কি গেছ ভুলে ।” এ প্রশ্ন কি অনস্ত কাল রইবে দুলে মোর জগতের চোখের পাতায় একটি ফোটা চোখের জলের মতো । কত চিঠির জবাব লিখব কত, এই কথাটির জবাব শুধু নিত্য বুকে জলবে বহ্নিশিখা অক্ষরেতে হবে না আর লিথা ।