পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S80 রবীন্দ্র-রচনাবলী আমার সভাকবির বিরস মুখ দেখে আমার মনের ভাব অনুমান কোরো না। প্রহর গণনা করে আনন্দের সীমানির্ণয় ! এ কেমন কথা ! সভাকবি । মহারাজ, দেশকলপাত্রের মধ্যে দেশও অসীম, কালও অসীম, কিন্তু আপনার পাত্রদের ধৈর্যের সীমা আছে। তোরণদ্বার থেকে চতুর্থ প্রহরের ঘণ্টা বাজল, এখন সভাভঙ্গ করলে সেটা নিন্দনীয় হবে না । রাজা। কিন্তু তৎপূর্বে উষাসমাগমের একটা অভিনন্দন-গান হােক। নইলে ভদ্ররীতিবিরুদ্ধ হবে। যে-অন্তগমন নব অভূত্যুদয়ের আশ্বাস না রেখেই যায় সে তো প্ৰলয়সন্ধ্যা । নটরাজ। এ কথা সত্য । তবে এসো অরুণক, জাগাঁও প্ৰভাতের আগমনী । বিশ্ববেদীতে শ্রাবণের রসদানযজ্ঞ সমাধা হল। শ্রাবণ তার কমণ্ডলু নিঃশেষ করে দিয়ে বিদায়ের মুখে দাঁড়িয়েছে। শরতের প্ৰথম উবার স্পর্শমণি লেগেছে আকাশে । দেখো দেখো, শুকতারা আঁখি মেলি চায় SVENS RNR | ডাক দিয়েছে রে শিউলি ফুলেরে Val Vag ও যে কার লাগি জ্বলে দীপ, কার ললাটে পরায় টিপ, ও যে কার আগমনী গায়Vi. Vsi veli জাগো জাগো সখী, কাহার আশায় আকাশ উঠিল পুলকি।। মালতীর বনে বনে ওই শোনো ক্ষণে ক্ষণে কহিছে শিশিরবায় खाष्ट्र छाप्न छ | নটরাজ। মহারাজ, শরৎ দ্বারের কাছে এসে পেঁচিছে এইবার বিদায়গান। রসলােক থেকে আপনার সভাকবি মুক্তি পেলেন বহুলোকে । সভাকবি । অর্থাৎ, অপদাৰ্থ থেকে পদার্থে। বাদলধারা হল সারা, বাজে বিদায়-সুর। গানের পালা শেষ করে দে, যাবি অনেক দূর। ছাড়ল খেয়া ও পার হতে ভাদ্রদিনের ভরা স্রোতে, দুলছে তরী নদীর পথে তরঙ্গবন্ধুর। কদমকেশর ঢেকেছে আজ বনপথের ধুলি, মীেমাছিরা কেয়াবনের পথ গিয়েছে ভুলি। অরণ্যে আজ স্তবন্ধ হওয়া, আকাশ আজি শিশির ছাওয়া, আলোতে আজ স্মৃতির আভাস বৃটির বিন্দুর।