পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SIGR রবীন্দ্র-রচনাবলী তুমি তারা, তারিয়ে দাও। অধ্যাপক জানেন কি, অবলা নারী মৃণালভূজে তাকে পারে পাঠাবার উপায় করেছে ?” “না, জানেন না ।” “জানলে কি এই বৈজ্ঞানিকের পীেরুবে ঘা লাগবে না ।” “ক্ষুদ্র লোকের শ্রদ্ধার দানে মহৎ লোকের আকুষ্ঠিত অধিকার, আমি তো এই জানি । এই অধিকার দিয়ে তারা অনুগ্রহ করেন, দয়া করেন ।” “সে কথা বুঝলুম, কিন্তু মেয়েদের গায়ের গয়না আমাদেরই আনন্দ দেবার জন্যে, আমরা যত সামান্যই হই- কারও বিলেতে যাবার জন্যে নয়, তিনি যত বড়োই হেন-না। আমাদের মতো পুরুষদের দৃষ্টিকে এ তোমরা প্রথম থেকেই উৎসর্গ করে রেখেছি। এই হারখানি চুনির সঙ্গে মুক্তোর মিল করা, এ আমি একদিন তোমার গলায় দেখেছিলেম, যখন আমাদের পরিচয় ছিল অল্প । সেই প্রথম পরিচয়ের স্মৃতিতে এই হারখানি এক হয়ে মিশিয়ে আছে। ঐ হার কি একলা তোমার, ও যে “আচ্ছ, ঐ হারটা না-হয় তুমিই নিলে ।” “তোমার সত্তা থেকে ছিনিয়ে-নেওয়া হার একেবারেই যে নিরর্থক । সে যে হবে চুরি । তোমার সঙ্গে নেব ওকে সবসুদু, সেই প্রত্যাশা করেই বসে আছি। ইতিমধ্যে ঐ হার হন্তান্তর করা যদি, তবে ফঁাকি দেবে আমাকে ।” “গয়নাগুলো মা দিয়ে গেছেন আমার ভাবী বিবাহের যৌতুক । বিবাহটী বাদ দিলে ও গয়নার কী সংজ্ঞা দেবী। যাই হােক, কোনো শুভ কিংবা অশুভ লয়ে এই কন্যাটির সালংকারা মূৰ্তি আশা কোরো a " “অন্যত্র পাত্র স্থির হয়ে গেছে বুকি ?” “হয়েছে। বৈতরণীর তীরে। বরঞ্চ এক কাজ করতে পারি, তুমি যাকে বিয়ে কববে সেই বধূর জন্যে আমার এই গয়না কিছু রেখে যাব ।” “আমার জন্যে বুঝি বৈতরণীর তীরে বধূর রান্তা নেই ?” “ও কথা বোলো না। সজীব পায়ী সব আঁকড়ে আছে তোমার কুঠি ।” “মিথ্যে কথা বলব না । কুষ্টির ইশারাটা একেবারে অসম্ভব নয় । শনির দশায় সঙ্গিনীর অভাব হঠাৎ মারাত্মক হয়ে উঠলে, পুরুষের আসে র্যাড়ার দিন ।” “তা হতে পারে, কিন্তু তার কিছুকাল পরেই সঙ্গিনীর আবির্ভাবটাই হয় মারাত্মক । তখন ঐ কঁাড়াটা হয়ে ওঠে মুশকিলের। যাকে বলে পরিস্থিতি ।” “ঐ যাকে বলে বাধ্যতামূলক উদ্দবন্ধন। প্রসঙ্গটা যদিচ হাইপথেটিক্যাল, তবু সম্ভাবনার এত কাছধেবা যে এ নিয়ে তর্ক করা মিথ্যে । তাই বলছি, একদিন যখন লালচেলি-পরা আমাকে হঠাৎ ”eDNR NR۲96؟ }Ts)

  • আর ভয় দেখিয়ে না, তখন আমিও হঠাৎ আবিষ্কার করব, পরাহন্তের অভাব নেই।” “হিহি মধুকরী, কথাটা তো ভালো শোনাল না তোমার মুখে । পুরুষেরা তোমাদের দেবী বলে স্তুতি করে, কেননা, তাদের অভ্যর্থন ঘটলে তোমরা শুকিয়ে মরতে রাজি থাক । পুরুষদের ভুলেও কেউ দেবতা বলে না। কেননা অভাবে পড়লেই বুদ্ধিমানের মতো অভাব পূরণ করিয়ে নিতে তারা প্ৰস্তুত । সন্মানের মুশকিল তো ঐ । একনিষ্ঠতার পদবিটা বাচাতে গিয়ে তোমাদের প্রাণে ময়তে হয় । সাইকলজি এখন থাক, আমার প্রস্তাৰ এই, অমরবাবুর অমরত্বলাড়ের দায়িত্ব আমাদেরই উপরে দাও-না, আমরা কি ওর মূল্য বুঝি নে। গয়না বেচে পুরুষকে লাইজা দাও কেন।”

“ও কথা বোলো না । পুরুষদের ফিশ মেয়েদেরই সব চেয়ে বড়ো সম্পদ। যে দেশে তোমরা বড়ো GP G VM jag ”. "A Gwn GP Grk gv I (Seagroversity verfing সেই কথাই ভৰি প্ৰাণপণে। এ প্রসঙ্গে