পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRNybr রবীন্দ্র-রচনাবলী “আপনি বুঝতে পারবেন না। আপনাদের সম্পদ জানের- উচ্চতম শিখরে সে জ্ঞান ইস্পার্সেনাল । মেয়েদের সম্পদ হৃদয়ের, যদি তার সব হারায়- যা কিছু বাহ্যিক, যা দেখা যায়, দেওয়া যায়, ভোগ করা যায়, তবু বাকি থাকে তার সেই ভালোবাসার আদর্শ যা অবাঙািমনসোগোচরীঃ । অৰ্থাৎ ইস্পার্সেনাল।” আমি বললুম, “দেখুন, তর্ক করবার সময় আর নেই। এখানকার কাগজে বোধ হয় দেখে থাকবেন, আমার এখানকার কাজ শেষ হয়ে গেছে। অ্যাসিস্টেন্ট জিয়লজিস্ট লিখেছেন, এখান থেকে আরো কিছু দূরে সন্ধানের কাজ আরম্ভ করতে হবে, কিন্তু-” "क (शान भी ।" "varpa (K-" “আমার কাছ থেকে শেষ কথাটা শুনতে চান, প্রথম কথাটা পূর্বেই আদায় করা হয়েছে ।” “है, कि छ ।” “তা হলে কথাটা পরিষ্কার করে বলি । আমার ঐ পঞ্চবটীর মধ্যে বসে আপনার অগোচরে কিছুকাল আপনাকে দেখেছি। সমান্ত দিন পরিশ্রম করেছেন, মানেন নি প্রখর রৌদ্রের তাপ । কোনো দরকার হয় নি। কারও সঙ্গের । এক-একদিন মনে হয়েছে হতাশ হয়ে গেছেন, যেটা পাবেন নিশ্চিত করেছিলেন সেটা পান নি । কিন্তু তার পরদিন থেকেই আবার অক্লান্ত মনে খোড়াড়ি চলেছে । বলিঙ্গ দেহকে বাহন করে বলিষ্ঠ মনের যেন জয়যাত্রা চলছে। এমনতরো বিজ্ঞানের তপশ্বৰী আমি আর কখনো দেখি নি। দূরে থেকে ভক্তি করেছি।” °匈寧 (R-" “না, বলি শুনুন । আমার সঙ্গে আপনার পরিচয় যতই এগিয়ে চলল, ততই দুর্বল হল সেই সাধনা ৷ নানা তুচ্ছ উপলক্ষে কাজে বাধা পড়তে লািগল । তখন ভয় হল নিজেকে, এই নারীকে ৷ ছি:৷ ছি, কী পরাজয়ের বিষ৷ এনেছি। আমার মধ্যে । এই তো আপনার দিকের কথা, এখন আমার কথাটা বলি আমারও একটা সাধনা ছিল, সেও তপস্যা । তাতে আমার জীবনকে পবিত্র করবে, উজ্জ্বল করবে, এ আমি নিশ্চয় জানভূম । দেখলুম। ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছি- যে চাকলা আমাকে পেয়ে বসেছিল তার প্রেরণা এই ছায়াচ্ছন্ন বনের নিশ্বাসের ভিতর থেকে, সে আদিম প্ৰাণের শক্তির । মাঝে-মাঝে এখানকার রাক্ষসী রাত্রির দ্বারা আবিষ্ট হয়ে মনে হয়েছে, একদিন আমার দাদুর কাছ থেকে আমাকে ছিনিয়ে নিতে পারে বুঝি এমন প্রবৃত্তিরাক্ষস আছে। তার বিশ হাত দিনে দিনে আমার দিকে এগিয়ে আসছে । তখনই বিছানা ফেলে দুটে গিয়ে ঝরনার মধ্যে ঝাপিয়ে পড়ে আমি জান করেছি।” এই কথা বলতে বলতে অচিরা ডাক দিলে, “দাদু ?” অধ্যাপক তার পড়া ফেলে রেখে কাছে এসে মধুর স্নেহে বললেন, “কী দিদি ।” “তুমিkসেদিন বলছিলে না, মানুষের সত্য তার তপস্যার ভিতর দিয়ে অভিব্যক্ত হয়ে উঠছে ?-- তার অভিব্যক্তি বায়োলজির নয় ।” “ই, তাই তো আমি বলি। পৃথিবীতে বর্বর মানুষ জন্তুর পর্যায়ে । কেবলমাত্র তপস্যার ভিতর দিয়েসে হয়েছে জ্ঞানী মানুষ । আরো তপস্যা সামনে আছে, আরো দুলৰ বর্তন করতে হবে, তবে সে হবে দেবতা । পুরানে দেবতার কল্পনা আছে, কিন্তু অতীতে দেবতা ছিলেন না, দেবতা আছেন। ভবিষ্যতে, মানুষের ইতিহাসের শেষ অধ্যায়ে ।” “দাদু, এইবার তোমার আমার কথাটা চুকিয়ে দিই। কদিন থেকে মনের মধ্যে তোলপাড় করছে ।” আমি উঠে পড়ে কললুম, “তা হলে আমি যাই ।” “না, আপনি বসুন। দাদু, তোমার সেই কলেজের যে অধ্যক্ষপন তোমার ছিল, সেটা আবার খালি হয়েছে। সেক্রেটরি খুব অনুনয় করে তোমাকে লিখেছেন সেই পদ ফিরে নিতে। ভূমি আমাকে সব দুঃখণ্ডকুল এই ঠিকই লেখাও নি। তাতেই তােমার দূরভিসন্ধি সন্ধে করে ২টি দুর্গ Vg ן"