পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন সঙ্গী Ràd “আমার কানে এসেছে উইলের প্রোবেট নেবার জন্যে তোমরা প্ৰস্তুত হচ্ছি। কথাটা বোধ হয় সত্যি ?” “হাঁ সত্যি। বন্ধুবাবু আমার সোলিসিটর।” “তিনি তোমাকে আরো কিছু আশা এবং মন্ত্রণা দিয়েছেন।” নীলা চুপ করে রইল । “তোমার বন্ধুবাবুকে আমি সিধে করে দেব যদি আমার সীমানায় তিনি পা বাড়ান। আইনে না পারি বে আইনে। ফেরবার সময় আমি পেশোয়ার হয়ে আসব। আমার ল্যাবরেটরি রইল দিনরাত্রি চারজন । শিখ সিপাইয়ের পাহারায় । আর যাবার সময় এই তোমাকে দেখিয়ে যাচ্ছি- আমি পাঞ্জাবের মেয়ে ।” বলে নিজের কোমরবন্ধ থেকে ছুরি বের করে বললে, “এ ছুরি না চেনে আমার মেয়েকে, না চেনে আমার মেয়ের সোলিসিটরকে । এর স্মৃতি রইল তোমার জিন্মায়। ফিরে এসে যদি হিসেব নেবার সময় হয় তো হিসেব নেব।” Σ Σ ল্যাবরেটরির চার দিকে অনেকখানি জমি ফাকা আছে। কঁপনি বা শব্দ যাতে যথাসম্ভব কাজের মাঝখানে না পৌছয়। এই নিস্তান্ধতা কাজের অভিনিবেশে রেবতীকে সহায়তা করে। তাই ও প্রায়ই aaJoN sei kreo 3gp3ANoj VN নীচের ঘড়িতে দুটাে বাজল। মুহুর্তের জন্য রেবতী তার চিন্তার বিষয় ভাবছিল জানলার বাইরে আকাশের দিকে চোখ মেলে । এমন সময়ে দেওয়ালে পড়ল ছায়া ! চেয়ে দেখে ঘরের মধ্যে এসেছে নীলা । রাত-কাপড় পরা, পাতলা সিস্কের শেমিজ I ও চমকে চৌকি থেকে উঠে পড়তে যাচ্ছিল । নীলা এসে ওর কোলের উপর বসে গলা জড়িয়ে ধরল। রেবতীর সমস্ত শরীর থর থর করে কঁাপিতে লাগল, বুক উঠতে পড়তে লাগল প্রবলবেগে । গদগদ কষ্ঠে বলতে লাগল, “তুমি যাও, এ ঘর থেকে তুমি যাও।” @ बब्बान, “का ||" রেবতী বললে, “আমি সহ্য করতে পারছি নে। কেন এলে তুমি এ ঘরে ।” নীলা ওকে আরো দৃঢ়বলে চেপে ধরে বললে, “কেন, আমাকে কি তুমি ভালোবাস না।” রেবতী বললে, “বাসি, বাসি, বাসি। কিন্তু এ ঘর থেকে তুমি যাও।” হঠাৎ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ল পাঞ্জাবী প্রহরী ; ভৎসনার কণ্ঠে বললে, “মায়িজি,বহুত শরমকি বাৎ शुभ, उां बांशद्ध फ्रा यशष्ट्र ।।” রেবতী চেতনমনের অগোচরে ইলেকট্রিক ডাকঘড়িতে কখন চাপ দিয়েছিল। পাঞ্জাবী রেবতীকে বললে, “বাবুজি, বেইমানি মৎ করো।” রেবতী নীলাকে জোর করে ঠেলে দিয়ে চৌকি থেকে উঠে পড়ল। দরোয়ান ফের নীলাকে বললে, "আপ বাহার চলা যাইয়ে, নাহি তো মনিবকে হুকুম তামিল করেগা।” অর্থাৎ জোর করে অপমান করে বের করে দেবে। বাইরে যেতে যেতে নীলা বললে, “শুনছেন। সার আইজাক নিউটন - কাল আমাদের বাড়িতে আপনার চায়ের নেমন্তয়, ঠিক চারটি পঁয়তাল্লিশ উৎস সময়। শুনতে পাচ্ছেন্ন না। অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন” বলে একবার তার দিকে ঘিরে IGM || বাস্পার্ক্স কণ্ঠে উত্তর এল, “শুনেছি।” রাত-কাপড়ের ভিতর থেকে নীলার নিখুঁত দেহের গঠন ভাস্করের মূর্তির মতো অপরূপ হয়ে ফুট উঠল, রেবতী মুগ্ধ চােখে না দেখে থাকতে পারল না। নীলা চলে গেল। রেবতী টেবিলের উপর মুখ