পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন সঙ্গী Ràdt “ভারি তো শক্ত । তোমার কানের কাছে আউড়ে আউড়ে আমার তো সমন্তটা মুখস্থ হয়ে গেছে“আমার জীবনের সর্বোত্তম শুভ মুহুর্তে জগনী সভা আমাকে যে অমরাবতীর মন্দারমাল্যে সমলংকৃত করিলেন- গ্র্যান্ড ! তোমার ভয় নেই। আমি তো তোমার কাছেই থাকিব, আন্তে আস্তে তোমাকে বলে দেব ।” “আমি বাংলাসাহিত্য ভালো জানি নে কিন্তু আমার কেমন মনে হচ্ছে, সমস্ত লেখাটা যেন আমাকে is 39C r(sfer(5 ft (FCs 7te (V, 12s 23 Dear friends. allow me to offer you my heartiest thanks for the honour you have conferred upon me on behalf of the Jagani Club– the great Awakener BOIf I Hals Ö GGGR NAGRAP-" “সে হচ্ছে না, তোমার মুখে বাংলা যে খুব মজার শোনাবে- ঐ যেখানটাতে আছে- ‘হে বাংলাদেশের তরুণসম্প্রদায়, হে স্বাতন্ত্র্যােসঞ্চালনারথের সারথি, হে ছিন্ন শৃঙ্খলপরিকীর্ণ পথে অগ্রণীবৃন্দ’- যাই বল ইংরেজিতে এ কি হবার জো আছে। তোমার মতো বিজ্ঞানবিশারদের মুখে শুনলে তরুণ বাংলা সাপের মতো ফণা দুলিয়ে নাচবে। এখনো সময় আছে, আমি পড়িয়ে নিচ্ছি।” গুরুভার দীর্ঘ দেহকে সিঁড়ির উপর দিয়ে সশব্দে বহন করে সাহেবী পোশাকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ব্রজেন্দ্ৰ হালদার মাচুমাচু শব্দে এসে উপস্থিত। বললে, “নাঃ এ অসহ্য, যখনই আসি নীলাকে দখল করে বসে আছ । কােজ নেই, কর্ম নেই, নীলিকে তফাত করে রেখেছি আমাদের কাছ থেকে কঁাটাগাছের বেড়ার মতো ।” রেবতী সংকুচিত হয়ে বললে, “আজ আমার একটু বিশেষ কাজ আছে তাই-” “কাজ তো আছে, সেই ভরসাতেই তো এসেছিলুম ; আজ তুমি মেম্বরদের নেমন্তয় করেছ, ব্যন্ত থাকবে মনে করে আপিসে যাবার আগে আধা ঘণ্টাটােক সময় করে নিয়ে তাড়াতাড়ি এসেছি । এসেই শুনছি। এখানেই উনি পড়েছেন কাজে বাধা । আশ্চর্য! কাজ না থাকলে এইখানেই ওঁর ছুটি, আবার কাজ থাকলে এইখানেই ওঁর কাজ । এমন নাছোড়বান্দার সঙ্গে আমরা কেজো লোকেরা পাল্লা দিই। কী 3GK | Rf, is it fair !” নীলা বললে, “ডক্টর ভট্টচাজের দোষ হচ্ছে, উনি আসল কথাটা জোর করে বলতে পারেন না। উনি কাজ আছে বলে এসেছেন, এটা বাজে কথা ; না এসে থাকতে পারেন না বলেই এসেছেন, এটাই একটা শোনবার মতো কথা এবং সত্যি কথা । আমার সমস্ত সময় উনি দখল করেছেন ওঁর জেদের জোরে । এই তো ওঁর পৌরুষ । তোমাদের সবাইকে ঐ বাঙালের কাছে হার মানতে হল ।” “আচ্ছা ভালো, তা হলে আমাদেরও পৌরুষ চালাতে হবে । এখন থেকে জাগানী ক্লাব-মেম্বাররা নারীহরণের চর্চা শুরু করবে। জেগে উঠবে পৌরাণিক যুগ ।” নীলা বললে, “বেশ মজা লাগছে শুনতে। নারীহরণ, পাণিগ্রহণের চেয়ে ভালো। কিন্তু পদ্ধতিটা কী রকম ।” হালদার বললে, “দেখিয়ে দিতে পারি।” “এখনই ?” “হী এখনই।” বলেই সোফা থেকে নীলাকে আড়াকোলা করে তুলে নিলে। নীলা চীৎকার করে হেসে ওর গলা জড়িয়ে ধরলে । রেবতীর মুখ অন্ধকার হয়ে উঠল, ওর মুশকিল। এই যে অনুকরণ করবার কিংবা বাধা দেবার মতো গায়ের জোর নেই। ওর বেশি করে রাগ হতে লাগিল নীলার ‘পরে, এই সব অসভ্য গোয়ারদের প্রশ্ৰয় । में कम । হালদার বললে, “গাড়ি তৈরি আছে। তোমাকে নিয়ে চললুম ডায়মন্ডহারবারে। আজ সন্ধের ভৌজে ফিরিয়ে এনে দেব। ব্যাঙ্কে কাজ ছিল, সেটা যাক গে চুলোয়। একটা সৎকাৰ্য করা হবে। উক্তিার ভট্টচাজকে নির্জনে কাজ করবার সুবিধে করে দিচ্ছি। তোমার মতো অতবড়ো ব্যাঘাতকে