পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ििशको PiT35F 커제 এই তো পায়ে চলার পথ । এসেছে বনের মধ্যে দিয়ে মাঠে, মাঠের মধ্যে দিয়ে নদীর ধারে, খেয়াঘাটের পাশে বটগাছতলায়। তার পরে ও পারের ভাঙা ঘাট থেকে বেঁকে চলে গেছে গ্রামের মধ্যে ; তার পরে তিসির খেতের ধার জািগলে ছয় দিয়ে পরিপাদ দিয়ে স্থলের পশন্দরে কোন গায়ে গিয়ে পৌচেছে এই পথে কত মানুষ কেউ বা আমার পাশ দিয়ে চলে গেছে, কেউ বা সঙ্গনিয়েছে, কাউকে-বা দূর থেকে দেখা গেল ; কারও-বা ঘোমটা আছে, কারও-বা নেই ; কেউ বা জল ভারতে চলেছে, কেউ-বা জল নিয়ে ফিরে এল । R D D BS DDBB D DB S একদিন এই পথকে মনে হয়েছিল আমারই পথ একান্তই আমার ; এখন দেখছি, কেবল একটিবার মাত্র এই পথ দিয়ে চলার হুকুম নিয়ে এসেছি, আর নয়। নেবুতলা উইিজয়ে সেই পুকুরপাড়, দ্বাদশ দেউলের ঘাট, নদীর চর, গোয়ালবাড়ি, ধানের গোল পেরিয়ে- সেই চেনা চাউনি, চেনা কথা, চেনা মুখের মহলে আর একটিবারও ফিরে গিয়ে বলা হবে 케, “d C ”d C 5R , CFR FI আজ ধূসর সন্ধ্যায় একবার পিছন ফিরে তাকালুম ; দেখলুম, এই পথটি বহুবিস্মৃত পদচিহ্নের श्रमांबी, प्छद्रीव्र गूद्ध दैाषा । যত কাল যত পথিক চলে গেছে তাদের জীবনের সমস্ত কথাকেই এই পথ আপনার একটিমাত্র ধূলিরেখায় সংক্ষিপ্ত করে এঁকেছে; সেই একটি রেখা চলেছে সূর্যোদয়ের দিক থেকে সূৰ্যান্তের দিকে, , এক সোনার সিংহদ্বার থেকে আর-এক সোনার সিংহদ্বারে । . NJ “ওগো পায়ে চলার পথ, অনেক কালের অনেক কথাকে তোমার ধুলিবন্ধনে বেঁধে নীরব করে রেখে না। আমি তোমার ধুলোয় কান পেতে আছি, আমাকে কানে কানে বলো।” পথ নিশীথের কালো পর্দার দিকে তর্জনী বাড়িয়ে চুপ করে থাকে। "ওগো পায়ে চলার পথ, এত পথিকের এত ভাবনা, এতে ইচ্ছ, সে-সব গেল কোথায় ।” বোবা পথ কথা কয় না। কেবল সূর্যোদয়ের দিক থেকে সূৰ্য্যন্ত অবধি ইশারা মেলে রাখে। "ণ্ডগ পায়ে চলার পথ, তোমার বুকের উপর যে-সমস্ত চরণপাত একদিন পুষ্পবৃষ্টির মতো পড়েছিল আজ তারা কি কোথাও নেই।” পথ কি নিজের শেষকে জানে, যেখানে লুপ্ত ফুল আর অন্ধ গান পৌঁছল, যেখানে তারার আলোয় অনির্বাণ বেদনায় দেয়ালি-উৎসৰ । चनि ७०२७