পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਲੇ (ტ\სტ\ტ সে হাত জোড় করে বলল, “কত চলব। ঠাকুরের দুয়ার পর্যন্ত পীেছই এমন সাধ্য কি আমার আছে ।” মন্ত্রী বললে, “ভয় কী রে তোর, রাজার সঙ্গে চলবি ।” সে বললে, “সর্বনাশ ! রাজার পথ কি আমার পথ !” মন্ত্রী বললে, “তবে তোর উপায় ? তোর ভাগ্যে কি রথযাত্রা দেখা ঘটবে না ।" সে বললে, “ঘটবে বৈকি। ঠাকুর তো রথে করেই আমার দুয়ারে আসেন।” মন্ত্রী হেসে উঠল । বললে, “তোর দুয়ারে রথের চিহ্ন কই ।” দুঃখী বললে, “তার রথের চিহ্ন পড়ে না।” মন্ত্রী বললে, “কেন বল তো।” দুঃখী বললে, “তিনি যে আসেন পুষ্পকরথে ।" মন্ত্রী বললে, “কই রে সেই রথ ।” দুঃখী দেখিয়ে দিলে, তার দুয়ারের দুই পাশে দুটি সূর্যমুখী ফুটে আছে। বৈশাখ ১৩২৭ अ955 পূজোর পরব। কাছে । ভাণ্ডার নানা সামগ্ৰীতে ভরা। কত বেনারসি কাপড়, কত সোনার অলংকার ; आद्र ऊ७ उन्न क्रीन्न प्रश्, श्राद्ध छान्न भिप्टेम । মা সওগাত পাঠাচ্ছেন । বড়োছেলে বিদেশে রাজসরকারে কাজ করে ; মেজোছেলে সওদাগর, ঘরে থাকে না ; আর-কয়টি ছেলে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে পৃথক পৃথক বাড়ি করেছে ; কুটুম্বারা আছে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে । কোলের ছেলেটি সদর দরজায় দাঁড়িয়ে সারা দিন ধরে দেখছে, ভারে ভারে সওগাত চলেছে, সারে সারে দাসদাসী, থালাগুলি রঙবেরঙের রুমালে ঢাকা । দিন ফুরোল। সওগাত সব চলে গেল। দিনের শেষনৈবেদ্যর সোনার ডালি নিয়ে সূর্যান্তের শেষ ७ट नकसानांकन १८५ निकलवां झूल । ছেলে ঘরে ফিরে এসে মাকে বললে, “মা, সবাইকে তুই সওগাত দিলি, কেবল আমাকে না।” মা হেসে বললেন, “সবাইকে সব দেওয়া হয়ে গেছে, এখন তোর জন্যে কী বাকি রইল। এই দেখা ।” এই বলে তার কপালে চুম্বন করলেন। ছেলে কঁদোকাদো সুরে বললে, “সওগাত পাব না ?” "যখন দূরে যাবি তখন সওগাত পাবি।” "আর, যখন কাছে থাকি তখন তোর হাতের জিনিস দিবি নে ?” মা তাকে দু হাত বাড়িয়ে কোলে নিলেন ; বললেন, “এই তো আমার হাতের জিনিস।” পৌষ ১৩২৬