পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&)ጝ br রবীন্দ্র-রচনাবলী পরে আজ আমার মনে রাশীকৃত হয়ে উঠেছে। আমি চললুম। সেই বাথাকে বুকে তুলে নেবার জনে। প্রেমের অমৃতে সেই ব্যথাকে। আমি সৌভাগ্যবতী করে তুলব। আমাকে বিদায় দাও । কার্তিকেয়। মহেন্দ্র, আমাদের জন্যে পথ করে দাও, আমরা সেইখানেই গিয়ে তোমার সঙ্গে মিলব । স্বৰ্গ আজ দুঃখের অভিযানে বাহির হােক । বৃহস্পতি । আমরা পথের অপেক্ষাতেই রইলুম, দেবরাজ। স্বৰ্গ থেকে বাহির হবার পথ করে দাও, নইলে আমাদের মুক্তি নেই। কার্তিকেয়। বাহির করো, দেবরাজ, স্বর্গের বন্ধন থেকে আমাদের বাহির করে- মৃত্যুর ভিতর দিয়ে আমাদের পথ রচনা করে । বৃহস্পতি । তুমি স্বৰ্গরাজ, আজ তুমি স্বর্গের তপোভঙ্গ করে জানিয়ে দাও যে, স্বৰ্গ পৃথিবীরই ; কার্তিকেয়। যারা স্বৰ্গকামনায় পৃথিবীকে ত্যাগ করবার সাধনা করেছে চিরদিন তুমি তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছ, আজ স্বয়ং স্বৰ্গকে সেই পথে নিয়ে যেতে হবে। ইন্দ্র । সেই বাধার ভিতর দিয়ে মুক্তিতে যাবার পথবৃহস্পতি । যে মুক্তি আপন আনন্দে চিরদিনই বাধার সঙ্গে সংগ্ৰাম করে। 이R পথিক হে, পথিক হে, ওই যে চলে, ওই যে চলে সঙ্গী তোমার দলে দলে । অন্যমনে থাকি কোণে, চমক লাগে ক্ষণে ক্ষণে, হঠাৎ শুনি জলে স্থলে পায়ের ধ্বনি আকাশতলে । পথিক হে, পথিক হে, যেতে যেতে পথের থেকে, আমায় তুমি যেয়ো ডেকে । যুগে যুগে বারে বারে এসেছিলে আমার দ্বারে, হঠাৎ যে তাই জানিতে পাই তোমার চলা হৃদয়তলে ।