পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oo রবীন্দ্র-রচনাবলী শুনে কোন মোহের ঘোরে। যেমনটা পুলকিত হল বলতে পারি নে। লিভারের দোষে ভুগে আসছি। বারো বছর, খাবার নাম শুনলেই পিত্তি যায় বিগড়ে । জিগেস করলেম, খাওয়াটা কী রকম হবে শুনি । অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে বলে উঠল, অতি উত্তম, অতি উত্তম, অতি উত্তম । বাউদি আমসত্ত্ব দিয়ে উচ্ছেসিদ্ধ চমৎকার রাধে, আর কুলের আঁটি টেকিতে কুট তার সঙ্গে দোক্তার জল মিশিয়ে চাটনি— বলেই নাচ জুড়ে দিল বিলিতি চালে- টিটিটমটম, টিটিটমটম, টিটিটমটম। । জীবনে কোনোদিন নাচি নি, হঠাৎ নাচ পেয়ে গেল- দুজনে হাত ধরাধরি করে নাচতে শুরু করে দিলুম; টিটিটমটম। মনে হল আশ্চর্য আমার ক্ষমতা ; যমুনা দিদি যদি দেখত তবে বলত, নাচ বটে। শেষকালে ইপিয়ে উঠে। ধাপ করে বসে পড়লুম। বললুম, আহারের ফর্দ যা দিলে একেবারে খাটি ভিটামিন । লিভারের পক্ষে অমৃত । কনে দেখতে যাবে তো কনের পরীক্ষা তো চাই। এক দফা হয়ে গেছে আগেই । কী রকম । মনে করলুম, মিলন হবার আগে মিলের পরীক্ষা চাই। ঠিক কি না বলে । ঠিক তো বটেই। পরীক্ষার প্রণালীটিা কী । জিগেস করা চাই “শোলোক মেলাতে পার কি না। দূত পাঠিয়েছিলুম রংমশাল এর সহ-সম্পাদককে, তিনি আওড়ালেন সুন্দরী, তুমি কালো কৃষ্টি । বললেন মিল করে এর জবাব দিতে হবে, পুরো মাপের মিল । কনোটি এক নিঃশেষে বলে দিলে--- কানা তুমি, নেই ভালো দৃষ্টি । সহ-সম্পাদকের এটা অসহ্য হল, বলে দিলে डाबा ढाक्षा शाङ যবে শেষ হল আলোবৃষ্টি। লম্বা হাতে বলবার তাৎপৰ্য্য কী হল । মেয়েটি ঢাঙা আছে শুনেছি, তোমার চেয়ে ইঞ্চি দুই-তিন বড়ো হবে । তাই শুনেই তো আমার উৎসাহ । বলো কী ! একখানা মেয়ে বিয়ে করতে গিয়ে পাওয়া যাবে আধখানা ফাউ । এ কথাটা আমার মাথায় ওঠে নি । মুমুকাল, সহসম্পদকের কাছে হার মেনে ও হার-মানার একটা কবুলতি দিয়ে দিয়েছে। KN || মাছের আঁশের হার গেঁথে ওর গলায় পরিয়েছে, বলেছে যশঃসৌরভ তোমার সঙ্গে সঙ্গে ফিরবে । আমি লাফ দিয়ে বলে উঠলুম, ধন্য ! এবার দেখছি এক অসাধারণের সঙ্গে আর-এক অসাধারণের মিলন হবে, জগতে এমন কদাচিৎ ঘটে । তা হলে আর কোন দিনক্ষণ দেখা । কিন্তু মেয়েটির পণ, ওকে যে হারাতে পারবে তাকেই ও বিয়ে করবে। ቘበርሞ† ? না, কথার মিলে। ঠিকমত যদি মেলাতে পারি তা হলে ও নিজেকে দেবে জলাঞ্জলি । 9P3(K (V| ? for